তিস্তা নদীর বন্যায় নীলফামারীর ডিমলা উপজেলার টেপাখড়িবাড়ি ২ নম্বর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দোতালা ভবনটি হেলে গেছে। একই সঙ্গে ভবনটির কয়েকটি স্থানে দেখা দিয়েছে ফাঁটল। এতে বিদ্যালয়টিতে পড়তে আসা প্রায় ৫০০ শিক্ষার্থীর পাঠদানে হিমশিম খাচ্ছেন কর্তৃপক্ষ।
জানা গেছে, টেপাখড়িবাড়ি ২ নম্বর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দোতালা ভবনটি গত বছরের (২০২০) বন্যায় অনেকটা হেলে যায়। এ বছরের বন্যাতেও ভবনটি আরো বেশি হেলে যায়। মূল ভবনটি জরাজীর্ণ ও ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে ওঠায় খোলা আকাশের নিচে তীব্র গরমের ভেতর ছাত্র-ছাত্রীদেরে ক্লাস নিতে বাধ্য হচ্ছেন শিক্ষকরা। বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রী আকলিমা আক্তার জানান, প্রতিবছর বর্ষাকালে তিস্তা নদীর বন্যায় কখনো হাঁটু পানি, আবার কখনো তার চেয়েও বেশি পানি পার হয়ে বিদ্যালয়ে আসতে হয়। নৌকা ছাড়া বিদ্যালয়ে উপস্থিত হওয়া যায়না। এখন পানি নেমে গেছে। তবে ভবনটি হেলে যাওয়ায়, আমরা ভয়ে আছি।
তৃতীয় শ্রেণির ছাত্র ইয়াছিন পারভেজ বলেন, বিদ্যালয় ভবনটি হেলে যাওয়ায়, খোলা আকাশের নিচে ক্লাস করছি। বৃষ্টি আসলে, ভবনে নিচে যেতে হচ্ছে। এতে রোদ, বৃষ্টিতে আমাদের খুব কষ্ট হচ্ছে।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা মোছা. খাতিজা খাতুন বলেন, ‘প্রায় ৫০০ জন শিক্ষার্থী নিয়ে শ্রেণিকক্ষ সংকটে রয়েছি। পাশে একটি খোলা জায়গায় মাটি ভরাট করছি। আপাতত সেখানে ক্লাস নেওয়ার জন্য টিনশেড দিয়ে একটি কক্ষ তোলা হবে।’
বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি সুলতান মাহমুদ বলেন, ‘পরিত্যক্ত ভবনটি অপসারণ করে দ্রুত নতুন ভবন নির্মাণ জরুরি হয়ে পড়েছে।’
উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা স্বপন কুমার দাস জানান, ‘বিদ্যালয়টি পরিদর্শন করেছি। বিকল্পভাবে পাঠদান চালু রাখতে টিনশেড ঘর নির্মাণ করার জন্য ম্যানেজিং কমিটিকে বলা হয়েছে। নতুন একটি ভবন তৈরির জন্য উদ্ধত্বন কতৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।