দৌড় কিংবা সাঁতার যেখানেই প্রতিযোগিতা হয়, সেখানেই অনবধ্য প্রতিভা দেখান টাঙ্গাইলের সরকারি করটিয়া সা’দত কলেজের হিসাববিজ্ঞান বিভাগের শেষ বর্ষের শিক্ষার্থী মনির হোসেন।
গত বছর শাহপরীর দ্বীপ থেকে সেন্টমার্টিন পর্যন্ত ১৬.১ কিলোমিটার জলপথ পাড়ি দিয়ে ‘বাংলা চ্যানেল’ জয়ের গৌরব অর্জন করেন তিনি।
এছাড়াও তিনি নিয়মিত দৌড় প্রতিযোগিতায় অংশ নেন। গত বছর কক্সবাজারে অনুষ্ঠিত মেরিন ড্রাইভ আল্ট্রা ম্যারাথনে ইনানী থেকে শুরু করে টেকনাফ পর্যন্ত দৌড়ে তৃতীয় স্থান অর্জন করেন।
এসব অর্জনের পেছনে মনিরের ইচ্ছাশক্তি, শ্রম যেমন রয়েছে, তেমনি আছে ত্যাগের নানা গল্প। তবুও দমে যাননি সখীপুরের ইন্দারজানি গ্রামের এই সাঁতারু। কিন্তু এবার যেন টাকার কাছে হেরে যেতে হবে এই উদ্যোমী তরুণ সাঁতারুকে।
‘বাংলা চ্যানেল’ পাড়ি দিয়ে ভেবেছিলেন মালয়েশিয়ার আয়রম্যান প্রতিযোগিতা অংশ নেবেন। কিন্তু প্রস্তুতির পর্যাপ্ত অর্থ না থাকায় সেটা আর হয়ে ওঠেনি। আর এবার টাকার জন্য অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে ‘টেকনাফ থেকে সেন্টমার্টিন’ ১৬ কিমি গভীর সমুদ্রের নীল জলরাশি সাঁতরে পাড়ি দেওয়ার সুযোগ।
এই মুহূর্তে রেজিস্ট্রেশন, ট্রেনিং, থাকা-খাওয়া, যাতায়াত সবমিলে বেশকিছু টাকার প্রয়োজন। তবুও হাল ছাড়তে চান না এই দৌড় ও সাঁতার পাগল মনির হোসেন।
তিনি বলেন, ‘বিভিন্ন মানুষের বিভিন্ন ধরনের নেশা থাকে, তেমন দৌড় ও সাঁতার আমার কাছে নেশা। যখন ১০০ কিলোমিটার দৌড় অথবা দীর্ঘ নদীপথ সাঁতার দিয়ে পাড়ি দেই, তখন আমার খুব আনন্দ হয়। দেশের বিভিন্ন স্থানে দৌড় ও সাঁতার প্রতিযোগিতায় অংশ নিচ্ছি। ইচ্ছা আছে আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতাগুলোতে অংশগ্রহণ করবো। কিন্তু কারো কোনো সহযোগিতা না থাকায় সেটা সম্ভব হচ্ছে না। আমি পরিশ্রম করছি, কাউকে না কাউকে পাশে পাবো, সেই আশায় আছি।’
লেখক: শিক্ষার্থী, ছাফদার আলী কলেজ (এইচএসসি ব্যাচ-২০২০), টাঙ্গাইল।