কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) নৃবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে অশোভন আচরণ, হুমকি ও স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ উঠেছে শারীরিক শিক্ষা দপ্তরের উপ-পরিচালক মনিরুল ইসলামের বিরুদ্ধে।
রোববার (২০ মার্চ) রেজিস্ট্রার দপ্তর সূত্রে বিষয়টি জানা যায়। এর আগে ১৬ মার্চ বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার বরাবর নৃবিজ্ঞান বিভাগের ৪০ জন শিক্ষার্থী স্বাক্ষরিত একটি লিখিত চিঠিতে এ অভিযোগ করা হয়।
চিঠি সূত্রে জানা যায়, ১৪ মার্চ বিকাল ৫টায় নৃবিজ্ঞান বিভাগের সাথে ব্যবস্থাপনা শিক্ষা বিভাগের ব্যাডমিন্টন খেলা হওয়ার কথা জানায় ব্যাডমিন্টন টুর্নামেন্ট আয়োজক কমিটি। তখন খেলোয়াড়রা মাঠে নামলে সন্ধ্যা ৭টায় খেলা হবে, এমন আশ্বাস দিলে খেলোয়াড়রা মাঠ থেকে উঠে আসেন। দুই ঘণ্টা অপেক্ষায় থাকার পর সন্ধ্যা ৭টায় নৃবিজ্ঞান বিভাগের খেলোয়াড়রা পুনরায় খেলতে নামলেও প্রতিপক্ষ দল অনুপস্থিত ছিল।
এসময় টুর্নামেন্ট পরিচালনা কমিটির সদস্য সচিবকে সিদ্ধান্ত জানাতে বললে এক পর্যায়ে উচ্চ স্বরে কথা বলতে শুরু করেন। তিনি বলেন, ‘আমি যেভাবে বলি সেভাবে চলবে, কার সাহস ও ক্ষমতা আছে দেখি তোমাদের খেলা কে চালায়। আমার যখন ইচ্ছা তখন খেলা চালাবো। এখন কোনো খেলা চলবে না।’
এরপর তিনি মাঠ ছেড়ে চলে আসেন। পরে বিভাগের সব খেলোয়াড় ও অপেক্ষমান বিভাগের দর্শকরা মাঠ ছেড়ে চলে যান।
এবিষয়ে নৃবিজ্ঞান সোসাইটির সহ-সভাপতি মুনিম ভূঁইয়া বলেন, ‘তিনি তার ইচ্ছে মতো খেলার সময় পরিবর্তন করেন। আবার নিয়ম অনুসারে ঠিক সময়ে খেলোয়াড় উপস্থিত না হলে উপস্থিত দলকে বিজয়ী ঘোষণা করার কথা। সে জায়গায় তিনি আমাদের খেলোয়াড় ও শিক্ষার্থীদের সাথে এ বিষয়ে অশোভন আচরণ, হুমকি ও দেখে নেওয়ার চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দেন।’
অভিযুক্ত মনিরুল আলম বলেন, ‘খেলার মধ্যে প্রতিপক্ষ দল কেন উপস্থিত ছিল না, আমি জানি না। তবে খেলার মধ্যে শিক্ষার্থীদের সাথে আমার এই বিষয়ে কথা কাটাকাটি হয়। আমি এই বিষয়ে খুবই অনুতপ্ত।’
এবিষয়ে নৃ্বজ্ঞিান বিভাগের সভাপতি এনএম রবিউল আউয়াল চৌধুরী বলেন, ‘আমাদের বিভাগের শিক্ষার্থীরা সেইদিন খেলাধুলা করার জন্য নির্দিষ্ট সময়ে মাঠে উপস্থিত ছিল। কিন্তু প্রতিপক্ষ খেলায় উপস্থিত ছিল না। এটা নিয়ে শিক্ষার্থীদের সাথে শারীরিক শিক্ষা বিভাগের উপ-পরিচালক মনিরুল আলমের সাথে তর্কাতর্কি হয়। এক সময়ে তিনি শিক্ষার্থীদের সাথে খারাপ আচরণ করেন। তাই শিক্ষার্থীরা লিখিত অভিযোগ দিয়েছে।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. আবু তাহের বলেন, ‘যেহেতু ক্যাম্পাস বন্ধ ছিল, আমি এবিষয়ে কথা বলবো। এটা নিয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য উপাচার্য বরাবর আমি চিঠি পাঠাবো।’