ক্যাম্পাস

জবি কর্মকর্তার বিরুদ্ধে টেন্ডার-চাষাবাদের অভিযোগ, তদন্ত কমিটি গঠন

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) ক্রীড়া দপ্তরের সহকারী রেজিস্ট্রার ও কর্মকর্তা সমিতির সাধারণ সম্পাদক কাজী মনিরের বিরুদ্ধে বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে ‘টেন্ডার-চাষাবাদে মজেছেন জবির কর্মকর্তা কাজী মনির’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশিত হয়। এ ঘটনার তদন্ত করে প্রতিবেদন প্রদানের জন্য একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। 

বৃহস্পতিবার (৮ জুন) বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার প্রকৌশলী মো. ওহিদুজ্জামান এ তথ্য জানান। এর আগে এ ব্যাপারে তার স্বাক্ষরিত একটি বিজ্ঞপ্তিও প্রকাশ করা হয়। 

তদন্তের জন্য পরিসংখ্যান বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. আশরাফ-উল-আলম-আলমকে আহবায়ক ও অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. আইনুল ইসলামকে সদস্য করে কমিটি গঠন করা হয়। কমিটিকে অতিদ্রুত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।  

তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. মো. আশরাফ-উল-আলম-আলমের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘এ বিষয়ে সরাসরি কথা বলবো। রোববার এসে দেখা করে জেনে নিয়েন।’

জানা যায়, কাজী মনির কর্মকর্তা হয়েও বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন ক্যাম্পাসের অধিগ্রহণকৃত জমিতে অনুমতি ছাড়াই চাষাবাদ করতেন। প্রভাব খাটিয়ে টেন্ডার নিয়ন্ত্রণে নিয়ে সবার অগোচরেই সেখানে বসিয়েছেন পানির পাম্প। বিশ্ববিদ্যালয়ের গাছ চুরি, পুকুরে চুরি করে মাছ চাষসহ নানা বিতর্কিত কাজে জড়িয়েছেন তিনি। তার এ কাজে বিশ্ববিদ্যালয়ের উর্ধ্বতন কর্মকতা ও সিন্ডিকেটের আশীর্বাদেই এমন কর্মকাণ্ড পরিচালনা করছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।