ক্যাম্পাস

ইবি-জাককানইবির মধ্যে সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষর

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় ও জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে শিক্ষা-গবেষণা-উন্নয়ন  বিষয়ে সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষর হয়েছে। মঙ্গলবার  (২১ নভেম্বর) ইবি উপাচার্যের কার্যালয়ে এই চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।

জাককানইবির পক্ষে চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন রেজিস্ট্রার কৃষিবিদ ড. মো. হুমায়ুন কবীর এবং ইবির পক্ষে কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. আলমগীর হোসেন ভূঁইয়া। এ সমঝোতা চুক্তির মেয়াদ পাঁচ বছর বলে জানা গেছে।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন জাককানইবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. সৌমিত্র শেখর এবং ইবি উপাচার্য অধ্যাপক শেখ আবদুস সালাম।

সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরকালে দুই বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষে আরও উপস্থিত ছিলেন জাককানইবির কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. আতাউর রহমান, পরিকল্পনা ও উন্নয়ন বিভাগের পরিচালক প্রকৌশলী মো. হাফিজুর রহমান, এপিএ ফোকাল পয়েন্ট ও অতিরিক্ত পরিচালক অডিট রাধেশ্যাম।

ইবির পক্ষে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ মাহবুবুর রহমান, রেজিস্ট্রার আলী হাসান, এপিএ ফোকাল পয়েন্ট চন্দনকুমার দাসসহ প্রক্টর, আইকিউএসি পরিচালক ও অন্যান্য কর্মকর্তাবৃন্দ।

চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে জাককানইবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. সৌমিত্র শেখর বলেন, শিক্ষা গবেষণা উন্নয়নকে সামনে রেখে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয় তার অগ্রযাত্রা নতুন করে শুরু করেছে। উন্নত ও স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে শিক্ষা ও গবেষণার ক্ষেত্রে একাধিক বিশ্ববিদ্যালয়ের পারস্পরিক সহযোগিতা আমাদের আরও শাণিত করবে। সে কারণে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে এই সমঝোতা চুক্তি অতীব গুরুত্বপূর্ণ। এসময় তিনি শুধু চুক্তির মধ্যেই সীমাবদ্ধ না রেখে এটিকে কার্যকর করার দিকে গুরুত্ব দেন।

ইবি উপাচার্য অধ্যাপক শেখ আব্দুস সালাম বলেন, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে এই চুক্তির মাধ্যমে উভয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষকদের গবেষণার ক্ষেত্রে সহযোগিতা বৃদ্ধি পাবে ও তারা বিভিন্নভাবে নিজেদের উন্নতি করতে পারবেন।

পরে দুই বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার এবং পরিকল্পনা ও উন্নয়নের পরিচালক পৃথক বৈঠকে বিশ্ববিদ্যালয় অর্গানোগ্রামসহ অন্যান্য প্রয়োজনীয় বিষয় সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা করেন।