কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের পঞ্চম ব্যাচের শিক্ষার্থীদের তৈরি ‘দ্য ফিফথ্ এস্টেট' নামক ইংরেজি পত্রিকার মোড়ক উন্মোচন করা হয়েছে। বিভাগটির চতুর্থ বর্ষের 'এডিটিং অ্যান্ড পেইজ মেকাপ' কোর্সের অংশ হিসেবে এই পত্রিকাটির মোড়ক উন্মোচন করা হয়।
বুধবার (২২ নভেম্বর) বিকেলে বিভাগের পঞ্চম ব্যাচের শিক্ষার্থী হুমায়রা কবির ও আঞ্জুমান আক্তারের সঞ্চালনায় এবং বিভাগীয় প্রধান কাজী এম. আনিছুল ইসলামের সভাপতিত্বে এ অনুষ্ঠান আয়োজিত হয়।
এই কোর্সের অধীনে প্রথমবারের মতো বিভাগটির প্রথম ব্যাচ ‘এমসিজে বার্তা’ নামে একটি পত্রিকা তৈরি করেছিলো। করোনা মহামারির কারণে পত্রিকাটির প্রকাশ সম্ভব হয়নি। পরে ২০২২ সালের ১ ফেব্রুয়ারি দ্বিতীয় ব্যাচের শিক্ষার্থীদের তৈরি ‘দ্বি এমসিজে’ নামক পত্রিকার উদ্বোধন করা হয়।
‘দ্য ফিফথ্ এস্টেট’ পত্রিকার মোড়ক উন্মোচনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এএফএম আবদুল মঈন। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন কলা ও সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন সহযোগী অধ্যাপক এনএম রবিউল আওয়াল চৌধুরী, ছাত্র পরামর্শক ও নির্দেশনা দপ্তরের পরিচালক অধ্যাপক ড. মোহা. হাবিবুর রহমান প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্যে পত্রিকার সম্পাদক ও বিভাগের পঞ্চম ব্যাচের শিক্ষার্থী নাজমুস সাকিব বলেন, পত্রিকার মাধ্যমে বিভাগের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত যাবতীয় কাজ আমরা তুলে ধরেছি। যাতে নবাগতসহ অনান্য বিভাগের শিক্ষার্থীরা আমাদের সম্পর্কে জানতে পারেন।
বিভাগের বিভাগীয় প্রধান কাজী এম. আনিছুল ইসলাম বলেন, 'এই সংবাদপত্রটি বের করার পেছনে অবদান রেখেছে পঞ্চম ব্যাচের শিক্ষার্থীরা। এর আগে আমাদের বিভাগের দ্বিতীয় ব্যাচের শিক্ষার্থীরা বাংলায় 'দ্বি এমসিজে' নামে পত্রিকা প্রকাশ করেছিলো। তবে 'দ্য ফিফথ এস্টেট' পত্রিকা ইংরেজি ভার্সনে প্রথম পত্রিকা। বিভাগের পরবর্তী ব্যাচগুলোও এমন সৃজনশীল কাজের ধারাবাহিকতা বজায় রাখবে বলে আশা করি।'
প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এএফএম আবদুল মঈন বলেন, 'আমি এই বিশ্ববিদ্যালয়ে যুক্ত হওয়ার পর থেকে সবসময়ই বলি অথেনটিক লার্নিংয়ের কথা৷ এই পত্রিকা এরই একটা প্রয়োগ। গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থীরাই তাদের শিক্ষকদের সমন্বয়ে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় বার্তা প্রকাশ করছে৷ আজকে ‘দ্য ফিফথ এস্টেট' পত্রিকাটি বের করার মধ্য দিয়ে তারা ইংরেজি পত্রিকা বের করার যে সামর্থ্য দেখালো তা তাদের সামর্থ্যকে প্রমাণ করেছে। কুবি প্রশাসনও শিক্ষার্থীদের এমন সৃজনশীল কাজকে সবসময় উৎসাহ দিয়ে থাকে।'