সামাজিক কার্যক্রমে অবদান এবং এসডিজি বাস্তবায়নে ভূমিকা রাখায় ন্যাশনাল ভলান্টিয়ার্স অ্যাওয়ার্ড পেয়েছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) শিক্ষার্থী রাজু আহমেদ। মঙ্গলবার (৫ ডিসেম্বর) আন্তর্জাতিক স্বেচ্ছাসেবক দিবস উপলক্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে আয়োজিত এক বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানে তাকে এ পুরস্কার দেওয়া হয়।
চুয়াডাঙ্গা জেলার আলমডাঙ্গা উপজেলার ওসমানপুর গ্রামের কৃতি সন্তান রাজু আহমেদ বিশ্ববিদ্যালয়ের শারীরিক শিক্ষা ও ক্রীড়াবিজ্ঞান বিভাগের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী। তিনি ‘অ্যাওয়ার্নেস আর্মি যুব সংগঠন’ এর প্রতিষ্ঠাতা। এই সংগঠনের কার্যক্রম দেশের চুয়াডাঙ্গা, কুষ্টিয়া এবং মেহেরপুর জেলায় পরিচালিত হচ্ছে।
সংগঠনটি মূলত তরুণদের সম্পৃক্ত করে সামাজিক বিভিন্ন সমস্যার সমাধান ও সমাজের উন্নয়নমূলক কাজ করে থাকে। এছাড়াও আন্তর্জাতিক সংস্থা 'স্টুডেন্টস ফর লিবার্টি'র রাজশাহী সিটির টিম লিডার হিসেবে কাজ করছেন রাজু।
সমাজে অসামান্য অবদান রাখায় দেশ-বিদেশের বিভিন্ন পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন তরুণ এই স্বেচ্ছাসেবক ও সংগঠক। তিনি ২০২২ সালে 'এশিয়া ইয়াং ট্যালেন্ট অ্যাওয়ার্ড' পেয়েছিলেন। পরের বছর 'গ্লোবাল ইয়ুথ লিডারশিপ অ্যাওয়ার্ড' পান। একই বছরে 'জেলার শ্রেষ্ঠ যুব সংগঠক' পুরস্কারে ভূষিত হন রাজু।
অনুষ্ঠানে দেশের বিভিন্ন জেলার চার শতাধিক স্বেচ্ছাসেবী অংশগ্রহণ করেন। এর মধ্যে উপর্যুক্ত বিষয়গুলোতে বিশেষ অবদান রাখার স্বীকৃতি স্বরূপ দেশসেরা ২০ জন স্বেচ্ছাসেবককে এই পুরস্কার প্রদান করা হয়।
প্রথম পুরস্কারপ্রাপ্ত স্বেচ্ছাসেবককে ১ লাখ টাকা, দ্বিতীয় জনকে ৫০ হাজার টাকা এবং পর্যায়ক্রমে বাকিদেরকেও নগদ টাকা, ক্রেস্ট ও সার্টিফিকেট প্রদান করা হয়।
অনুষ্ঠানটির আয়োজক ছিল আন্তর্জাতিক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা 'ভলান্টারি সার্ভিস ওভারসিজ', দেশীয় স্বনামধন্য স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা ভলান্টিয়ার অপরচুনিটিজ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের 'ইনস্টিটিউট অব ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড ভালনারেবিলিটি স্টাডিজ'।
এসময় অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ব্রুনেই দারুসসালামের হাই কমিশনার মো. হারিস ওসমান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক এএসএম মাকসুদ কামাল, ইউএনএফপিএ এর বাংলাদেশ প্রতিনিধি ক্রিস্টিম ব্লকুজ, আইএলও এর বাংলাদেশ প্রতিনিধি টুমু পুটিয়ানেন, বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালসের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক খন্দকার মুকাদ্দেম হোসাইন প্রমুখ।
পুরস্কার পেয়ে রাজু আহমেদ বলেন, 'দীর্ঘ ছয় বছর ধরে সামাজিক কাজের সঙ্গে সম্পৃক্ত আছি। আত্মতৃপ্তির জন্য সামাজিক কাজ করি। তবে সেই কাজের স্বীকৃতি পাওয়া তৃপ্তির পরিমাণকে বহুগুণে বৃদ্ধি করে দেয়। এই সম্মাননা আমাকে আমার কাজের গতি আরও বৃদ্ধি করবে।'