যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) সিনিয়র ড্রাইভার মো. মফিজুর রহমান নিজের শরীরে পেট্রোল ঢেলে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন। তার আত্মহত্যা চেষ্টার পিছনে পরিবহন প্রশাসকের অসৌজন্যমূলক আচারণকে দায়ী করে রেজিস্ট্রার বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছে যবিপ্রবি কর্মচারি সমিতি।
অভিযোগের প্রেক্ষিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. আনিছুর রহমানকে আহ্বায়ক করে ৫ সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। এছাড়াও মফিজের চিকিৎসার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়য়ের পক্ষ থেকে ৫০ হাজার ও কর্মচারি সমিতির পক্ষ থেকে ২০ হাজার টাকা দেওয়া হয়েছে।
এ ঘটনায় অধ্যাপক ড. মো. জাফিরুল ইসলামকে সাময়িকভাবে অপসারণ করে সহকারী পরিবহন প্রশাসক ড. মো. জাহাঙ্গীর আলমকে পরিবহন প্রশাসকের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে যবিপ্রবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ার হোসেন।
আরও পড়ুন: শরীরে পেট্রোল ঢেলে আত্মহত্যার চেষ্টা যবিপ্রবি ড্রাইভারের
এদিকে আত্মহত্যা চেষ্টার কারণ ড্রাইভার মফিজুর নিজ মুখে স্বীকার করেছেন বলে জানা গেছে। তিনি জানান, আগে থেকেই তিনি মানসিক অশান্তিতে ছিলেন। এরপরে পরিবহন প্রশাসক চিঠি দিয়ে তাকে গাড়ি চালাতে দেওয়া হবে না বলে জানান। এই মনঃকষ্টে তিনি আত্মহত্যার চেষ্টার করেন।
তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন প্রশাসক অধ্যাপক ড. জাফিরুল ইসলাম বলেন, ‘উপাচার্যের নির্দেশে তাকে অফিসের কাজ করার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে। যেহেতু আমাদের দপ্তরে কোন পিয়ন নেই। পারিবারিক অশান্তির জন্য তিনি প্রায়ই অন্যমনস্ক থাকতেন। এ ঘটনার আগে উপাচার্যের নির্দেশে তাকে স্ট্যান্ডিং রিলিজ করা হয়। তার নথিগুলো অফিসে গেলে পাওয়া যাবে। তাকে গাড়ি চালাতে দেওয়া হবে না বা এইরকম কিছু আমরা তাকে বলিনি বা চিঠিও দেইনি।’
উল্লেখ্য, গত শুক্রবার (২৯ ডিসেম্বর) রাতে যশোরের আমবটতলায় নিজ বাড়িতে মফিজুর আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। তার শরীরের প্রায় ৮০% পুড়ে গেছে। বর্তমানে তিনি ঢাকার শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।