বিশ্বসেরা গবেষকদের তালিকায় এ বছর স্থান পেয়েছেন বাংলাদেশের ২০৪টি বিশ্ববিদ্যালয়ের ১০ হাজার ৩৩ জন গবেষক। অ্যালপার ডগার (এডি) সায়েন্টিফিক ইনডেক্স প্রকাশিত 'ওয়ার্ল্ড সায়েন্টিস্ট র্যাংকিং-২০২৪'-এ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) বিভিন্ন বিভাগের ২৩৭ জন গবেষকের নাম এসেছে।
আন্তর্জাতিক গবেষক ও বিশ্ববিদ্যালয় র্যাঙ্কিং সংস্থা 'আলপার ডগার (এডি) সায়েন্টিফিক ইনডেক্স' এ তালিকা প্রকাশ করেছে। এতে বিশ্বের ২১৯টি দেশের ২২ হাজার ৭৬৭টি বিশ্ববিদ্যালয়ের মোট ১৪ লাখ ৪৩ হাজার ৯৩ জন বিজ্ঞানী ও গবেষক স্থান পান।
র্যাঙ্কিং তালিকার 'এইচ' ইনডেক্স সূত্রে, দেশীয়, আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক পর্যায়ে গত বছর রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অবস্থান বেশ উন্নতি হয়। এ বছর বাংলাদেশি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অবস্থান সপ্তম, যা গত বছর ছিলো দশম। আঞ্চলিক (এশিয়া) পর্যায়ে ১ হাজার ১৯৪তম; যা গত বছর ছিল ১ হাজার ৩৪৮তম। বিশ্বে ৩ হাজার ৯১২তম; যা গত বছর ছিলো ৪ হাজার ২৯৮তম।
গত বছরের ন্যায় এ বছরের তালিকায়ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকদের মধ্যে প্রথম স্থানে রয়েছেন ফলিত গণিত বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. আলি আকবার। তিনি প্রকৃতি বিজ্ঞান বিষয়ে গবেষণা করে বর্তমানে রাবির সর্বোচ্চ র্যাঙ্কে স্থান পেয়েছেন।
তাছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের র্যাঙ্কিংয়ে সেরা ১০ জনের অন্যান্য গবেষকরা হলেন অধ্যাপক এম. ইয়ামিন হোসাইন (ফিসারিজ বিভাগ), অধ্যাপক সালেহ হাসান নকিব (পদার্থবিজ্ঞান বিভাগ), অধ্যাপক আকমা ইসলাম (পদার্থবিজ্ঞান বিভাগ), অধ্যাপক এএইচএম মাহবুবুর রহমান (বোটানি বিভাগ), অধ্যাপক ড. এম আশিক মোসাদ্দিক (ফার্মেসি বিভাগ), অধ্যাপক আবু ড. মো. খালেদ হোসাইন (বায়োকেমিস্ট্রি অ্যান্ড মলিকিউলার বায়োলজি বিভাগ), সহযোগী অধ্যাপক ইমতিয়াজ হাসান (বায়োকেমিস্ট্রি অ্যান্ড মলিকিউলার বায়োলজি বিভাগ), সহযোগী অধ্যাপক ড. আহমাদ হুমায়ুন কবীর (বোটানি বিভাগ), অধ্যাপক মো. ইসমাইল তারেক (পপুলেশন সায়েন্স অ্যান্ড হিউম্যান রিসোর্স ডেভেলপমেন্ট বিভাগ)।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ফলিত গণিত বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. আলি আকবার বলেন, আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে অনেক ভালো মানের গবেষক আছেন। ভালো লাগার দিক থেকে যে যার মতো রিসার্চ করছেন। কিন্তু র্যাঙ্কিং বাড়ানোর জন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন থেকে রিসার্চ করার জন্য কোনো তাগিদ দেওয়া হয় না। বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু সীমাবদ্ধতা আছে। কিন্তু গবেষণার মতো মৌলিক বিষয়গুলোর দিকে অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে।
তিনি আরো বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা যদি আর্টিকেল প্রকাশ না করেন, তাহলে তাদের জবাবদিহিতার আওতায় আনা উচিত। যেটা মালয়েশিয়ায় হয়ে থাকে। সেখানে কোনো শিক্ষক যদি বছরে দুইটি আর্টিকেল প্রকাশ না করেন, তাহলে তাদের জবাবদিহিতার আওতায় আনা হয়। যারা গবেষণা করছেন তাঁদেরকে উৎসাহিত করাও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের একটি দায়িত্ব।