চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষে স্নাতক প্রথম বর্ষের (সম্মান) ভর্তি পরীক্ষায় রেকর্ড সংখ্যক আবেদন জমা হয়েছে। এবার প্রতিটি আসনের জন্য লড়বেন ৪৯ জন ভর্তিচ্ছু।
তবে গতকাল রাত ১২টার পূর্বে আবেদনের করেও ১১হাজার ১৪৪ জন টাকা জমা দেয়নি। এতে করে সবমিলিয়ে দুই লাখ ৪৩ হাজার ৫৫৫ জন শিক্ষার্থী ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ পাবেন বলে জানা গেছে।
রোববার (২১ জানুয়ারি) দুপুর ১২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের আইসিটি সেলের পরিচালক অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ খাইরুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
জানা গেছে, চবিতে এবার চারটি ইউনিট ও দুটি উপ-ইউনিটে চার হাজার ৯২৬টি আসনের জন্য ২ মার্চ থেকে ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করবেন শিক্ষার্থীরা। এ বছর ভর্তি আবেদন ফি নির্ধারণ করা হয়েছে ১০০০ টাকা।
‘এ’ ইউনিটে আবেদন করেছেন ৯৯ হাজার ৫২১ জন। ‘বি’ ইউনিটে ১ হাজার ২২১টি আসনের বিপরীতে আবেদন করেছেন ৬৫ হাজার ২৬৭ জন শিক্ষার্থী। ‘সি’ ইউনিটে আবেদন করেছেন ১৭ হাজার ৩০০ শিক্ষার্থী। ‘ডি’ ইউনিটে আবেদন করেছেন ৫৭ হাজার ৮০৪ জন।
দুটি উপ-ইউনিটের মধ্যে ‘বি-১’ ইউনিটে আবেদন পড়েছে ১ হাজার ৬৬৯ জনের। আর ‘ডি-১’ উপ ইউনিটে ৩০টি আসনের বিপরীতে ১ হাজার ৯৯৪ জন প্রার্থী আবেদন করেছেন।
চবিতে এবারের ভর্তি পরীক্ষা আগামী ২ থেকে ১৬ মার্চের মধ্যে অনুষ্ঠিত হবে। প্রথমবারের মতো এবারের ভর্তি পরীক্ষা চট্টগ্রাম ছাড়াও ঢাকা ও রাজশাহীতে অনুষ্ঠিত হবে। কেন্দ্র হবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি)।
তবে চাইলেই এ দুই বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রে ভর্তি পরীক্ষা দেওয়া যাবে না। সীমিত সংখ্যক শিক্ষার্থীকে এ সুযোগ দেওয়া হবে। যিনি আগে আবেদন সম্পন্ন করবেন, তার পছন্দক্রম অনুসারে আসন খালি থাকা সাপেক্ষে তার কেন্দ্র নির্ধারণ করা হবে।
শর্ত সাপেক্ষে দ্বিতীয়বার ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ রাখা হয়েছে। ১০০ নম্বরের এমসিকিউ পরীক্ষা হবে। ভুল উত্তরের জন্য দশমিক ২৫ নম্বর কাটা যাবে। মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিকের ফলের ভিত্তিতে সর্বোচ্চ ২০ নম্বর যোগ হবে। তবে দ্বিতীয়বার অংশগ্রহণকারীদের মোট নম্বর থেকে বাদ যাবে ৫ নম্বর।
এ বছর ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদভুক্ত ‘সি’ ইউনিটের সিলেবাসে কিছুটা পরিবর্তন আনা হয়েছে। ইংরেজিতে ৪০, বিশ্লেষণ দক্ষতায় ৩০ ও সমস্যা সমাধান (প্রবলেম সলভিং) অংশে ৩০ নম্বর থাকবে।