ক্যাম্পাস

হাতে লেখা চিঠির প্রচলন চায় ইবির ‘অভয়ারণ্য’

সভ্যতার বিবর্তনে হারিয়ে যাচ্ছে প্রাচীন যোগাযোগ মাধ্যম হাতে লেখা চিঠি। এই হারিয়ে যাওয়া চিঠির প্রচলন ফিরে আনার লক্ষ্যে কাজ করছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও পরিবেশবাদী সংগঠন ‘অভয়ারণ্য’।

সংগঠনটির উদ্যোগে গতকাল সোমবার (২২ জানুয়ারি) থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলায় তিনদিন ব্যাপী আয়োজন করা হয় ‘কুহেলিকা উৎসব’। যা আগামীকাল বুধবার (২৪ জানুয়ারি) পর্যন্ত চলবে।

এ কুহেলিকা উৎসবের বিশেষ আকর্ষণ ‘চিঠি বাক্স’। এই চিঠি বাক্সের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যয়নরত যেকোনো শিক্ষার্থী যে কারো কাছে চিঠি পাঠাতে পারবে। আর এই চিঠিগুলো অভয়ারণ্যের সদস্যরা আগামী বৃহস্পতিবার (২৫ জানুয়ারি) থেকে গন্তব্যে পৌঁছে দেবেন।

চিঠি বাক্সের দায়িত্বে থাকা অভয়ারণ্যের অভয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, দ্বিতীয় দিন পর্যন্ত এ চিঠি বাক্সে দুই শতাধিক চিঠি জমা পড়েছে। সংগঠনটি প্রতিটি চিঠির জন্য ১০ টাকা করে নিচ্ছে।

এ চিঠি পাঠানোর দূরত্ব নির্ধারণ করে তারা জানান, বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসসহ কুষ্টিয়া এবং ঝিনাইদহের মধ্যে যেকোনো জায়গায় তারা এ চিঠি পৌঁছে দিবেন।

চিঠিবাক্সের দায়িত্বে থাকা অভয়ারণ্যের সদস্য তুষার বলেন, চিঠিপত্র আদান-প্রদান আমাদের ঐতিহ্যের একটি অংশ। কিন্তু আধুনিক যুগে চিঠিপত্রের আদান-প্রদান প্রায় বন্ধ হয়ে গেছে। আর এই হারিয়ে যাওয়া ঐতিহ্যকে সামান্য হলেও শিক্ষার্থীদের মাঝে ফিরে দিতেই আমাদের এই আয়োজন। অনেকেই নিজের মনের ভাব সামনা সামনি একে ওপরকে জানাতে পারেন না। আমরা সেই না বলা অভিব্যক্তিকে পরিচয় গোপন রেখে প্রাপকের কাছে পৌঁছে দিব।

অভয়ারণ্যের সভাপতি ইশতিয়াক ফেরদৌস ইমন বলেন, আমরা গত বছরের ন্যায় এবারও একটু আয়োজন করেছি কুহেলিকা উৎসব নামে। এ উৎসবে অসংখ্য আয়োজন রয়েছে। এর মধ্যে একটি বিশেষ আয়োজন হলো চিঠি বাক্স। যেখানে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা তাদের মনের কথা চিঠির মাধ্যমে আরেকজনের কাছে পৌঁছে দিবে। আর এর মাধ্যম হিসেবে কাজ করছি আমরা। একজনের কথা আরেকজনের নিকট দিতে পারলে সেটা হবে আমাদের জন্য সার্থকতা।

উল্লেখ্য, ‘শান্তি ও সংস্কৃতিতে অভয়ারণ্য’ এই স্লোগানকে সামনে রেখে ক্যাম্পাসে পাখি চত্বর উদ্বোধন, পাখিদের স্থায়ী বাসস্থান এবং খাদ্য নিশ্চিতকরণসহ বিভিন্ন সাংস্কৃতিক ও সেবামূলক কার্যক্রম করে চলেছে ‘অভয়ারণ্য’।