ক্যাম্পাস

শেখ রেহানা ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের অ্যাকাডেমিক ভবনে তালা

নয় দফা দাবিতে অ্যাকাডেমিক ভবনে তালা দিয়েছে গোপালগঞ্জের শেখ রেহানা টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের শিক্ষার্থীরা। দাবি আদায় না হলে তারা অ্যাকাডেমিক কার্যক্রম বন্ধ করে বৃহৎ আন্দোলনে যাবেন বলে জানিয়েছেন তারা।

বুধবার (৩০ জানুয়ারি) দুপুরে শেখ রেহানা টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের প্রধান ফটকের সমানে অবস্থান নেয় শিক্ষার্থীরা। পরে প্রধান ফটক তালাবন্ধ করে এ আন্দোলন শুরু করে। এ সময় তাদের বিভিন্ন ধরনের প্লাকার্ড প্রদর্শন করতে দেখা যায়।

শিক্ষার্থীদের দাবি সমূহ হলো- শিক্ষার্থীদের যেকোনো সমস্যার নিষ্পত্তি শিক্ষকদের উপস্থিতিতেই করতে হবে এবং শিক্ষকরা ছাড়া কেউ সেখানে উপস্থিত থাকতে পারবে না। হল কেন্দ্রিক এবং ক্যাম্পাস কেন্দ্রিক সব বাজেটের সঠিক বন্টন এবং সুস্পষ্ট হিসাব দিতে হবে। আগামী সাত কর্মদিবসের মধ্যে ক্যাম্পাসের ক্যান্টিন চালু করতে হবে। আগামী সাত কর্মদিবসের মধ্যে ক্যাম্পাসের প্রয়োজনীয় সব ক্লাবের কার্যক্রম চালু করতে হবে। আগামী সাত কর্মদিবসের মধ্যে বিশুদ্ধ খাবার পানির স্থায়ী সমাধান করতে হবে। আগামী এক কর্মদিবসের মধ্যে ক্যাম্পাসের সম্ভোধন বিষয়ক চার্ট নোটিশ আকারে প্রকাশ করতে হবে। ছাত্র হোস্টেলের গেইট সার্বক্ষণিক খোলা রাখতে হবে। শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে নেওয়া সব অর্থের রশিদ প্রদান করতে হবে এবং সব ধরনের চার্জের পরিমাণ উল্লেখ করতে হবে।

দাবিগুলো পূরণ না হওয়া পর্যন্ত ক্যাম্পাসের সব ধরনের অ্যাকাডেমিক কার্যক্রম বর্জন করা হবে বলে ঘোষণা দেন শিক্ষার্থীরা।

এদিকে আন্দোলনের কথা জানতে পেরে কলেজের অধ্যক্ষ ইঞ্জিনিয়ার নয়ন চন্দ্র ঘোষ বরিশাল থেকে তাৎক্ষণিক গোপালগঞ্জে আসেন এবং শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বেলা ৩টায় বসেন। পরে শিক্ষার্থীদের এই দাবিসমূহ মেনে নিলে শিক্ষার্থীরা বেলা সাড়ে ৩টার দিকে তাদের আন্দোলন স্থগিত করেন।

কলেজের ফেব্রিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রথম ব্যাচের শিক্ষার্থী হাসিবুল ইসলাম বলেন, কলেজের দুই একজন স্টাফ শিক্ষার্থীদের সঙ্গে খারাপ আচরণ করে। মূলত এ থেকেই সৃষ্টি হয় শিক্ষার্থীদের মধ্যে ক্ষোভ। অধ্যক্ষ স্যার বেলা সাড়ে ৩টার দিকে এসে আমাদের দাবি সমূহ মেনে নেওয়ার আশ্বাস দিলে আমরা আন্দোলন স্থগিত করি।

শেখ রেহানা টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের অধ্যক্ষ ইঞ্জিনিয়ার নয়ন চন্দ্র ঘোষ বলেন, আজ সকাল থেকে শিক্ষার্থীরা একাডেমিক ভবনের তালা বন্ধ করে আন্দোলন শুরু করে। তবে তারা যে নয় দফা দিয়েছে, তার মধ্যে কিছু যৌক্তিক এবং কিছু অযৌক্তিক। তাদের দেওয়া যৌক্তিক দাবিসমূহ আমরা দ্রুত সময়ের মধ্যেই সমাধান করবো।

কলেজ সূত্রে জানা যায়, ২০২০ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে শেখ রেহানা টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ কার্যক্রম শুরু করে। ওই বছর প্রথম ব্যাচে ১১৪ জন ভর্তি হয়। বর্তমানে তিনটি ব্যাচে মোট ৩৫৭ জন শিক্ষার্থী রয়েছে।