ক্যাম্পাস

স্থানীয় যুবকদের মারধরে কুবি শিক্ষার্থী আহত

‘পূর্ব শত্রুতার জেরে’ কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষার্থীকে মারধর করেছে স্থানীয় কয়েকজন যুবক। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। শনিবার (৩ জানুয়ারি) দিবাগত রাতে কোটবাড়ী বোর্ড মার্কেট সংলগ্ন দোকানের সামনে এই ঘটনা ঘটে। 

প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, কোটবাড়ী বোর্ড মার্কেট সংলগ্ন মামুন স্টোর নামক একটি দোকানের সামনে কয়েকজন স্থানীয় যুবক বসে ছিল। এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষার্থীর সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয়। এরই জের ধরে মারধরের ঘটনা ঘটে। 

আহত ওবায়দুল্লাহ বিশ্ববিদ্যালয়ের লোকপ্রশাসন বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের একজন শিক্ষার্থী। আহতাবস্থায় তাকে কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। 

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, স্থানীয় যুবকদের মধ্যে রাসেল খান নামে একজনের পরিচয় জানতে পেরেছে পুলিশ। তিনি কুমিল্লার লালমাই সরকারি কলেজের শিক্ষার্থী। তিনি কুমিল্লার নাজিরা বাজার এলাকায় থাকেন এবং নিয়মিত কোটবাড়ী বোর্ড মার্কেট এলাকায় আড্ডা দেন বলে।

এর আগে, ২০২২ সালের ১৯ জুন কুবিতে গাঁজা সেবনরত অবস্থায় রাসেলসহ তিনজনকে আটক করে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল বডির কাছে সোপর্দ করেন শিক্ষার্থীরা। সে সময় বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় আর আসবেন না মর্মে মুচলেকা দেন অভিযুক্তরা।

এই বিষয়ে জানতে চাইলে ভুক্তভোগী ওবায়দুল্লাহ বলেন, 'কিছুদিন আগে আমাদের সিনিয়র আপুর মোবাইল ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছিল। তাদের শনাক্ত করেছি আমরা। কেন তারা এমন করেছে জিজ্ঞেস করতে এবং এরকম যেন কখনো না করে সেটা বলতে গিয়েছিলাম। তখন তারা সেই ছিনতাইকারীসহ তিন জন ছিল। আমাদের সঙ্গে কথা বলার সময় তারা ফোন দিয়ে ১০-১২ জনকে ডেকে নিয়ে আসে এবং আমাদের উপর আক্রমণ করে। আমরা দুই-তিনজন ছিলাম। আমাদের সবাইকেই তারা মারধর করেছে।'

পূর্বের ঘটনার অনুসন্ধানে জানা যায়, এক সপ্তাহ আগে রাসেল খান সহ আরও কয়েকজন বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে নগদ টাকা ও ফোন ছিনতাই করে। পরবর্তীতে শনিবার (৩ ফেব্রুয়ারি) ছিনতাইয়ের শিকার হওয়া শিক্ষার্থীরা রাসেল খানকে চিনতে পারলে তার কাছে এসে ছিনতাই করা টাকা ও ফোন ফেরত চান। তখন কথা কাটাকাটি হয় এবং পরবর্তীতে মারধরের ঘটনা ঘটে। 

বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর মো. জাহিদ হাসান বলেন, 'ঘটনা সম্পর্কে আমরা অবগত আছি। আমরা পুলিশকে জানিয়েছি। পুলিশ তদন্ত করছে।'

এ বিষয়ে কোটবাড়ী পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসএম আরিফুর রহমান বলেন, 'বিষয়ট তদন্তাধীন। তদন্তের পরই সব কিছু বলা যাবে।'