ক্যাম্পাস

জাবিতে ধর্ষণের প্রতিবাদে রাবিতে বিক্ষোভ

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ধর্ষণের প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল করেছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) ক্রিয়াশীল আটটি ছাত্রসংগঠন। সোমবার ( ৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের পিছন থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের হয়। মিছিলটি ক্যাম্পাসের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে শহীদ সৈয়দ নজরুল প্রশাসনিক ভবনের সামনে সমাবেশে মিলিত হয়।

এসময় বিক্ষোভকারীরা 'জাবিতে ধর্ষক কেন, শেখ হাসিনা জবাব চাই', 'ধর্ষক তৈরির কারখানা জ্বালিয়ে দাও, পুড়িয়ে দাও', 'শিক্ষা-ছাত্রলীগ, একসাথে চলে না', 'আমার বোন ধর্ষণ কেনো, শেখ হাসিনা জবাব চাই', 'ছাত্রলীগের কালো হাত, জ্বালিয়ে দাও পুড়িয়ে দাও' ইত্যাদি স্লোগান দিতে থাকে।

মিছিল পরবর্তী সমাবেশে সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের আহবায়ক ফুয়াদ রাতুল বলেন, ধর্ষণ করার জন্য চাই ক্ষমতা। ক্ষমতা থাকার কারণে তারা ধর্ষণ করে। সারা দেশে ফ্যাসিবাদ কায়েম করে তারা সবখানে দখলদারিত্ব করছে। বর্তমানে একটি সংগঠন ধর্ষক তৈরির কারখানা পরিণত হয়েছে। আমাদের তাদের বিরুদ্ধে দুর্বার আন্দোলন করতে হবে।

এসময় ছাত্র ইউনিয়ন আহবায়ক জান্নাতুল নায়েম বলেন, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ঘটনা পুরো বিশ্বকে নাড়া দিয়েছে। তারা অন্যায় করে যাচ্ছে, অথচ বিচার হয় না। সরকার বর্তমান সময়ে আইন বিভাগকে আয়ত্তে করে নিয়ে আসছে। ফলে তাদের বিচার হয় না। জাবিতে ধর্ষণের বিচার মাধ্যম ধর্ষকদের হাত থেকে আমাদের রক্ষা করতে হবে।

ছাত্র ফেডারেশন আহবায়ক রায়হান আলী বলেন, প্রতিবাদে ছাত্রলীগ আমাদের বাঁধা দিতে আসছে। আমাদের এখন বিচার দিতে হয় শেখ হাসিনাকে। কারণ বিচার বিভাগ তার আয়ত্তে। নোয়াখালীর সুবর্ণচর, সিলেট এমসি কলেজে যারা ধর্ষণ করেছে, তারা সবাই ক্ষমতাসীন দলের লোক। জবাবদিহিতার ঊর্ধ্বে সবকিছু উঠে গেছে। ফলে তারা বারবার ধর্ষন করে যাচ্ছে।

নাগরিক ছাত্র ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক মেহেদী হাসান মুন্না বলেন, তারা অপকর্ম করার পরও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারে না। হলে সিট বাণিজ্য করার লাইসেন্স থেকে শুরু করে ধর্ষণ করার লাইসেন্সও প্রশাসন তাদেরকে দিয়ে দিচ্ছে। ফলে তার বারবার অপকর্ম করে পার পেয়ে যায়। তার আমাদের ভয়ভীতি দেখিয়ে চেপে রাখতে চায়। আমাদের সবাইকে তাদের বিরুদ্ধে দুর্বার আন্দোলন করতে হবে।

বিপ্লবী ছাত্র সংগঠনের সভাপতি শাকিল হোসেন বলেন, ধর্ষক উৎপাদনের প্রধান কারণ বিচার না হওয়া। বিচার না হওয়ার কারণে তারা পার পেয়ে যায়। ফলে তারা বারবার সন্ত্রাসী কার্যক্রম করে যাচ্ছে। বিচার বিভাগকে তারা আয়ত্ত নিয়ে আসছে। বিচার বিভাগকে আলাদা করে দিতে হবে। তাদের বিচারের আওতায় এনে ধর্ষকের হাত থেকে  বাংলাদেশকে রক্ষা করতে হবে। দেশে গণতান্ত্রিক অধিকার ফিরিয়ে এনে নতুন বাংলাদেশ গড়তে হবে।

এদিকে বিক্ষোভের সময় শেখ হাসিনা এবং ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে স্লোগান দেওয়ায় রাবি ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ও তার নেতাকর্মীরা উপস্থিত হয় এবং তাদের স্লোগান না দেওয়ার জন্য অনুরোধ করে বলে জানা গেছে। এসময় সাধারণ শিক্ষার্থীসহ বাম সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।