ক্যাম্পাস

কুবির বঙ্গবন্ধু হল প্রাধ্যক্ষের পদত্যাগ

প্রশাসনের অব্যবস্থাপনার কারণ দেখিয়ে পদত্যাগ করেছেন কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ তোফায়েল হোসেন মজুমদার। মঙ্গলবার (৬ ফেব্রুয়ারি) ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার মো. আমিরুল হক চৌধুরী বরাবর এ পদত্যাগপত্র জমা দেন তিনি।

পদত্যাগ পত্রে তিনি উল্লেখ করেন, ব্যক্তিগত ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের অব্যবস্থাপনার কারণে আমার পক্ষে হল প্রাধ্যক্ষের দায়িত্ব পালন করা সম্ভব নয়।

অব্যবস্থাপনার বিষয়টি জানতে চাইলে ড. মোহাম্মদ তোফায়েল হোসেন মজুমদার বলেন, ‘আমাদের অনেক শিক্ষকদেরই প্রমোশন আটকে আছে প্রায় দেড়বছর ধরে। অ্যাপ্লিকেশন দেওয়ার পরেও উপাচার্য কোনো নিয়োগ বোর্ড আহ্বান করছেন না। বারবার বলার পরও কোনো কাজ হচ্ছে না।’

তিনি বলেন, ‘অনেকের আবার আপগ্রেডেশন রুলের শর্ত পূরণ করার পরেও তাদের প্রমোশন দেওয়া হচ্ছে না। দেখা যায়, এক বোর্ডে কারও প্রমোশন হচ্ছে, আবার কারো হচ্ছে না। এতে বিভাগগুলোতে মাঝে মাঝে জুনিয়র শিক্ষকরা পদের দিক থেকে সিনিয়রদের আগে চলে গেছেন।' 

তিনি আরও বলেন, ‘অনেকের প্রমোশনের পরে অযৌক্তিক শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়েছে। আমাকে এক বছরে তিনটা গবেষণা করতে হবে। এর মধ্যে দুইটা গবেষণা কিউ-ওয়ান মানের জার্নালে প্রকাশিত হতে হবে। এক বছরে দুইটা কিউ-ওয়ানে প্রকাশনা আনতে হলে তো আমাকে ক্লাস-পরীক্ষাসহ হলের দায়িত্বও বাদ দিয়ে দিতে হবে।'

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এফ এম আবদুল মঈন বলেন, ‘প্রকাশনার জন্যই কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের র‍্যাংকিং বাড়ছে। মানুষ জানতে পারছে, আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে এখন ভালো মানের গবেষণা হচ্ছে। এখন কয়েকজন এসে বলে, এই প্রকাশনাটা তাদের জন্য কষ্টকর। শিক্ষকদের প্রকাশনার দায়িত্ব দেওয়া হয় বোর্ড থেকে। সেখানে তো আমার কোনো হাত নেই।'