জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) ধর্ষণের ঘটনায় দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক সর্বোচ্চ শাস্তি ও নিপীড়নমুক্ত ক্যাম্পাসের দাবিতে মানববন্ধন করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ঢাকা জেলা অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শহিদ মিনারের সামনে এ কর্মসূচি পালন করে।
এতে বক্তারা জাবিতে ধর্ষণের মতো ঘৃণ্য ও জঘন্য অপরাধে দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি জানান। একই সঙ্গে ক্যাম্পাসের শিক্ষা ও গবেষণার সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিতের দাবি জানান।
এসময় সংগঠনের পক্ষ থেকে তিন দফা দাবি উত্থাপন করা হয়। দাবিগুলো হলো- ধর্ষণের মতো জঘন্য অপরাধে দোষীদের ও তাদের সহায়তাকারীদের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে, মেয়াদোত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের হল থেকে বের করে নিয়মিত শিক্ষার্থীদের আবাসন নিশ্চিত করতে হবে, গণরুম ও গেস্টরুমের সম্পূর্ণ বিলুপ্তি ঘটাতে হবে, ক্যাম্পাসে বিভিন্ন সময়ে সংঘটিত নিপীড়নের ঘটনার তদন্ত সাপেক্ষে বিচার করতে হবে।
সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ধর্ষকদের কোনো দল নেই, কোনো সমাজ নেই। ধর্ষক আর শিক্ষার্থী একসঙ্গে বসবাস করতে পারে না। এই বিশ্ববিদ্যালয়ে ধর্ষকের কোনো ঠাঁই নাই। জাবিতে এ ধরনের ন্যাক্কারজনক ঘটনা যাতে না ঘটে, সেজন্য সব শিক্ষার্থীকে সোচ্চার থাকতে হবে। বর্তমানে যারা বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়ন করছেন, তারা সংযত হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়ম কানুন মেনে চলবেন।
সংগঠনের সভাপতি আলহাজ্ব শাহাবুদ্দিন বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের মীর মশাররফ হোসেন হলে ৩১৭ নং কক্ষে টর্চার টর্চার সেলে ব্যক্তিকে আটকে রেখে তার স্ত্রীকে ধর্ষণের মতো জঘন্য ঘটনা ঘটেছে। এর জন্য আমি ধিক্কার জানাই। এই ধরনের ঘটনা যেন বিশ্ববিদ্যালয়ে আর না ঘটে, সেজন্য প্রশাসনকে দোষীদের শাস্তির আওতায় নিয়ে আসার জোর দাবি জানাই।
মানববন্ধন শেষে জাবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. নূরুল আলমের হাতে স্মারকলিপি তুলে দেন সংগঠনের সভাপতি শাহাবদ্দিন ও সাধারণ সম্পাদক মো. জাহাঙ্গীর আলম। নেতৃবৃন্দের হাত থেকে উপাচার্য স্মারকলিপি গ্রহণ করে অপরাধীদের দ্রুত বিচার নিশ্চিত করার আশ্বাস দেন।