ক্যাম্পাস

রঙ তুলির আঁচড়ে বসন্ত বরণের প্রস্তুতি

পহেলা ফাল্গুন, ঋতুরাজ বসন্তের প্রথম দিন। সূর্য ওঠার সাথেই যেন হেসে উঠবে ঋতুরাজ বসন্ত। এ দিনটিতে প্রকৃতির সঙ্গে সঙ্গে বাসন্তি সাজে সেজে ওঠে বাংলার মানুষরা। ঋতুরাজকে বরণ করে নেওয়ার জন্য সাজ সাজ রব সর্বত্র। এরই ধারাবাহিকতায় ঐতিহ্যবাহী বিদ্যাপীঠ রাজশাহী কলেজে ঋতুরাজকে স্বাগত জানাতেই রঙ-তুলির আঁচড়ে শুরু হয়েছে বসন্ত বরণের প্রস্তুতি।

রাজশাহী কলেজ অধ্যক্ষ অধ্যাপক মো. আব্দুল খালেকের নির্দেশনায় অগ্নিবীণা সাহিত্য পরিষদের উপদেষ্টা ও বাংলা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মো. ইকবাল হোসেনের সার্বিক তত্ত্বাবধানে আলপনায় অংশ নিয়েছে কলেজের বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থীসহ অন্যান্য বিভাগের শিক্ষার্থীরা।

সরেজমিনে দেখা যায়, কলেজের হাজী মোহাম্মদ মহসিন ভবনের সামনের রাস্তা রঙ-তুলি নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন কয়েকজন শিক্ষার্থী। কেউ প্লাস্টিকের পাত্রে রঙ তৈরি করছেন। আবার কেউ সেই রঙ দিয়ে রাঙিয়ে তুলছেন ক্যাম্পাসের আঙিনা। হরেক রকমের রঙ-তুলির ছোঁয়া লাগছে ক্যাম্পাসের মাটিতে। লাল, নীল, সবুজ, হলুদসহ নানা রঙের তুলিতে তৈরি হচ্ছে রঙিন ক্যানভাস। এছাড়া ফুলার ভবন সামনেও রবীন্দ্র-নজরুল চত্বরসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে বসন্তের আলপনা শোভা পেয়েছে।

আলপনায় অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীরা জানান, প্রতিবছরই পহেলা ফাল্গুন বসন্ত বরণ উপলক্ষে কলেজে আলপনা আঁকা হয়। এরই অংশ হিসেবে এ বছরও আমরা ক্যাম্পাস রঙিন করছি। ক্যাম্পাসের সিনিয়র- জুনিয়রা মিলে আনন্দের সঙ্গে আলপনা আঁকছি। খুব ভালো লাগছে।

রাজশাহী কলেজ অধ্যক্ষ অধ্যাপক মোহা. আব্দুল খালেক বলেন, রাজশাহী কলেজ ঐতিহ্যবাহী কলেজ। এ কলেজ বরাবরই এ দেশের সংস্কৃতিকে ধারণ করে এগিয়ে যেতে চায়। এ কলেজ যেমন শিক্ষার্থীদের আধুনিক প্রযুক্তি নিয়ে আসতে চায় তেমনি এ দেশের ঐতিহ্য ও সংস্কৃতিকে শিক্ষার্থীদের মাঝে বাঁচিয়ে রাখতে চায়।

তিনি বলেন, জলবায়ুগত কারণে এ দেশে এখন সব ঋতু ঠিকমত আসে না । শিক্ষার্থীরা যাতে বসন্ত কে মনে রাখতে পারে, তাই বসন্ত বরণের উৎসব করে। শিক্ষার্থীরা যাতে প্রযুক্তি ও সংস্কৃতিকে একত্রে সৃজনশীল, জ্ঞানী, দক্ষ হয়ে গড়ে উঠতে পারে, সেজন্য এসব উৎসব করে থাকে রাজশাহী কলেজ।