বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সৃষ্টিকর্মকে জাতির মানসে চির অম্লান রাখতে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ে ইন্টারন্যাশনাল ক্ল্যাসিক্যাল কনফারেন্স অন মিউজিক উদ্বোধন করা হয়েছে।
রবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. শাহ্ আজমের সভাপতিত্বে আজ রোববার সকাল ১১টায় জাতীয় সংগীত পরিবেশনার মধ্যে দিয়ে শুরু হয় কনফারেন্সের প্রথম অধিবেশন।
এতে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন সিরাজগঞ্জ-৬ আসনের সংসদ সদস্য ও বিশিষ্ট সংগীত শিল্পী চয়ন ইসলাম। কনফারেন্স বক্তা হিসেবে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সংগীতজ্ঞ শেখ সাদী খান। গবেষণা প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সংগীত বিভাগের অধ্যাপক ড. অসিত রায়।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে সাংসদ চয়ন ইসলাম বলেন, শাহজাদপুরের মানুষের দীর্ঘদিনের দাবি ছিল রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নামে একটি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করা। এই দাবি পূরণ করেছেন প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা। আমাদের প্রত্যাশা রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষা-গবেষণার পাশাপাশি সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে দেশের শীর্ষ সাংস্কৃতিক বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে স্থান দখল করবে।
রবি উপাচার্য অধ্যাপক শাহ্ আজম বলেন, বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সৃষ্টিকর্মকে জাতির মানসে চির অম্লান রাখার মহৎ উদ্দেশ্যকে সামনে রেখে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রথমবারের মতো দুই দিনব্যাপী আন্তর্জাতিক ক্লাসিকাল মিউজিক কনফারেন্সের আয়োজন করেছে।
পরে দুপুর ১টা রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা পরিবেশনা করেন মনোমুগ্ধকর ধ্রুপদী সংগীত। এরপর বিকাল সাড়ে ৩টায় 'বাংলা গানের পূর্বাপর: প্রসঙ্গ শাস্ত্রীয় সংগীত' শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।
সন্ধ্যায় দেশ-বিদেশের সংগীত বিশেষজ্ঞদের শাস্ত্রীয় সংগীতের পরিবেশনায় রয়েছে ধ্রুপদ (রাগ ভূপালী), খেয়াল (রাগ মুলতানি), তবলা লহড়া, বীণা বাদন এবং উচ্চাঙ্গ সংগীত। প্রখ্যাত বীণাশিল্পী পণ্ডিত বিশখ শীলের পরিবেশনার মধ্য দিয়ে শেষ হবে কনফারেন্সের প্রথম দিনের কর্মসূচি।
উল্লেখ্য, কনফারেন্সের দ্বিতীয় দিন সোমবার সকাল ১০টায় কর্মসূচি শুরু হবে কন্ঠসংগীত ও তবলা বাদন কর্মশালার মধ্য দিয়ে। কর্মশালায় প্রশিক্ষক হিসেবে থাকবেন পণ্ডিত শ্যামসুন্দর গোস্বামী (কলকাতা, ভারত), শুভ্রাংশু চক্রবর্তী (কলকাতা, ভারত) এবং সন্ধ্যায় রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের পরিবেশনার মধ্য দিয়ে শেষ হবে এ আয়োজন।