ক্যাম্পাস

মানারাত ইউনিভার্সিটিতে স্পোর্টস কার্নিভাল অনুষ্ঠিত

মানারাত ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে বর্ণাঢ্য আয়োজনে অনুষ্ঠিত হয়েছে স্পোর্টস কার্নিভাল ২০২৪। শনিবার (২ মার্চ) বিশ্ববিদ্যালয়ের আশুলিয়া ক্যাম্পাসের খেলার মাঠে এ স্পোটর্স কার্নিভাল অনুষ্ঠিত হয়।

এতে বিপুল উৎসাহ উদ্দীপনায় বিভিন্ন বিভাগের ছাত্র-ছাত্রীরা অংশ নেন। মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস ২০২৪ উদযাপন উপলক্ষে এমআইইউ স্পোর্টস ক্লাব এ মেগা ইভেন্টের আয়োজন করে।

সকালে পায়রা অবমুক্তকরণ, বেলুন উড়ানো ও ছাত্র-ছাত্রীদের শপথ বাক্য পাঠের মাধ্যমে শুরু হওয়া স্পোর্টস কার্নিভাল ২০২৪ উদ্বোধন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আব্দুছ ছবুর খান। সভাপতিত্ব করেন স্কুল অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজির ডিন ও ফার্মেসি বিভাগের প্রধান ড. নারগিস সুলতানা চৌধুরী। বিশেষ অতিথি ছিলেন রেজিস্ট্রার ড. মোয়াজ্জম হোসেন।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে প্রধান অতিথি অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আব্দুছ ছবুর খান বলেন,  ১৯৭১ সালের ২ মার্চ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা ভবনে প্রথম স্বাধীন বাংলার পতাকা উত্তোলন করা হয়। এ দিনের পর থেকে দেশ উত্তাল হতে থাকে। পরে বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ৭মার্চের বক্তৃতা ও এর ধারাবাহিকতায় ২৬ তারিখে আনুষ্ঠানিক স্বাধীনতার ঘোষণা এবং দীর্ঘ নয় মাসের সংগ্রামের মাধ্যমে বাংলাদেশ নামের এই স্বাধীন রাষ্ট্রটি পাই। এ দিনটি সামনে রেখেই আজকের এই দিনে স্পোর্টস কার্নিভাল আয়োজন করা হয়েছে।

উদ্বোধনের পর স্পোর্টস কার্নিভালের প্রতিযোগিতাগুলো শুরু হয়। চলে দুপুর অবধি। পরে বিকালে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি।

এ সময় স্কুল অব আর্টস অ্যান্ড হিউম্যানিটিসের ডিন ও ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের প্রধান ড. মোহাম্মদ ওবায়দুল্লাহ, স্কুল অব বিজনেস অ্যান্ড ইকোনোমিকসের ডিন মো. মাহবুল আলম, ইংরেজি বিভাগের প্রধান ও প্রোক্টর (ইনচার্জ) আহমদ মাহবুব-উল-আলম, আইন বিভাগের প্রধান মোহাম্মদ আজহারুল ইসলাম, ইইই বিভাগের প্রধান কে. এম. আক্তারুজ্জামান,  জার্নালিজম অ্যান্ড মিডিয়া স্টাডিজ বিভাগের প্রধান মো. মামুন উদ্দীন, সিজিইডির পরিচালক ড. মোহাম্মাদ আবুল কালাম উপস্থিত ছিলেন।

স্পোর্টস কার্নিভালের এ আসরে পৃথকভাবে ছেলেদের জন্য পাঁচটি ও মেয়েদের জন্য পাঁচটি প্রতিযোগিতা আয়োজন করা হয়। প্রতিযোগিতা শেষে প্রতি ইভেন্টের প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থান অর্জনকারীকে মেডেল ও সার্টিফিকেট প্রধান করা হয়। এছাড়া সম্মিলিতভাবে সবগুলো প্রতিযোগিতার ফলাফলের ভিত্তিতে ছেলে ও মেয়েদের মাঝে আলাদা করে একজন করে চ্যাম্পিয়ন ঘোষণা করা হয়।

পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও কর্মকর্তাদের মাঝে এক প্রীতি ফুটবল খেলা অনুষ্ঠিত হয়। ৩-৩ গোলে খেলাটি ড্র হয়।