ক্যাম্পাস

‘রাঙামাটির সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যকে আন্তর্জাতিক অঙ্গণে নিয়ে যাবো’

‘বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলার সংস্কৃতিকে, দেশের মানুষের মধ্যে বিনিময় করতে হবে। এতে দেশের ছেলেমেয়েরা বিপথে যাবে না। আমদের সবাইকে সংস্কৃতি চর্চা করতে হবে। রাঙামাটির সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যকে আমরা আন্তর্জাতিক অঙ্গনে নিয়ে যাবো।’

বুধবার (৩ এপ্রিল) দুপুরে দেড়টায় রাঙামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় পরিদর্শনকালে এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী  নাহিদ ইজাহার খান এমপি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, রাঙামাটি আমার একটি খুব প্রিয় জায়গা। এখানকার মানুষের যে সরলতা, আমার মন ছুঁয়ে যায় সবসময়। আমার রাঙামাটির সফর সম্পর্কে জানার পর প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, রাঙামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় পরিদর্শন করে শিক্ষার্থী ও বিশ্ববিদ্যালয় সম্পর্কে অবহিত করতে।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, আপনারা যেভাবে ক্যাম্পাসের প্রতিটি জায়গায় আর দেয়ালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের উক্তি আর ছবি রেখেছেন। এটাই হলো বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলাদেশ। আপনাদের কাছে অনুরোধ করবো, বঙ্গবন্ধু উক্তি ও তার আদর্শগুলোকে পালন করার চেষ্টা করবেন।

তিনি আরও বলেন, সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় সবসময় আপনাদের পাশে থাকবে। আমরা এখানকার সংস্কৃতিকে কিভাবে উন্নত করা যায় সে চেষ্টাই করবো। সমাজে যেসব নাচ, গান, কবিতা, আবৃত্তি আর নাটক হারিয়ে যাচ্ছে, সেগুলো নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে হবে। তাহলে আমরা পারবো বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলাদেশ গড়তে।

এসময় উপস্থিত ছিলেন, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি দীপংকর তালুকদার এমপি এবং রাঙামাটির সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য জরতী তঞ্চঙ্গ্যা।

রাবিপ্রবি’র  উপাচার্য অধ্যাপক ড. সেলিনা আখতারের সভাপতিত্বে আরও উপস্থিত ছিলেন, উপ উপাচার্য অধ্যাপক ড. কাঞ্চন চাকমা, রেজিস্ট্রার মোহাম্মদ ইউসুফ, প্রক্টর ড. নিখিল চাকমা, বিভিন্ন বিভাগের চেয়ারম্যান, শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী ও শিক্ষার্থীবৃন্দ।

সভাপতির বক্তব্যে উপাচার্য অধ্যাপক ড. সেলিনা আখতার বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন কর্মকাণ্ডের অগ্রগতির বিষয়ে প্রতিমন্ত্রীর কাছে তুলে ধরেন এবং আগামী জুন মাসের মধ্যে মাস্টারপ্ল্যান শেষ হওয়ার আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের বিশেষ বরাদ্দের মাধ্যমে বর্তমানে দুটি প্রশাসনিক ভবন, দুটি একাডেমিক ভবন আর একটি লাইব্রেরি ভবন দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঁচটি বিভাগের শিক্ষা কার্যক্রম চলমান রয়েছে। প্রধানমন্ত্রী নৃতাত্বিক গোষ্ঠীর উন্নয়নের জন্য এই রাঙামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় করেছেন। নৃতাত্ত্বিক গোষ্ঠীর উন্নয়নে আমরা  প্রতিমন্ত্রীর কাছে এই বিশ্ববিদ্যালয়ে একটা সাংস্কৃতিক কেন্দ্র করার আবেদন করছি।