ক্যাম্পাস

বশেমুরবিপ্রবি উপাচার্যের দপ্তরে তালা: বিভিন্ন দাবিতে শিক্ষকদের অবস্থান কর্মসূচি

তিন দফা দাবিতে উপাচার্যের দপ্তরে তালা দিয়ে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সদস্যরা। তবে এসময় শিক্ষকরা পাঠদান ও পরীক্ষা কার্যক্রম চালু রেখেছিলেন।

সোমবার (৩ জুন) বেলা ১টা পর্যান্ত তারা এ অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন। জটিলতা নিরসনে জন্য পাঁচদিনের সময়সীমা বেধে দিয়েছিলেন শিক্ষক নেতারা। তবে দু’দিন অতিবাহিত হলেও কর্তৃপক্ষ এখন পর্যন্ত কোনো উদ্যোগ নেয়নি বলে জানান শিক্ষক সমিতির সভাপতি মো. ফায়েকুজ্জামান মিয়া।

বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়ে দেখা গেছে, উপাচার্য একিউএম মাহবুবের দপ্তরের দরজায় তালা লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের দোতলায় ১৫-২০ জন শিক্ষক বসে অবস্থান কমর্সূচি পালন করছেন। এছাড়া উপ-উপাচার্য সৈয়দ সামসুল আলমের কক্ষের দরজাও তালাবদ্ধ দেখা গেছে। ফলে উপাচার্য ও উপ-উপাচার্য দপ্তরের সব ধরনের প্রশাসনিক কাজ বন্ধ রয়েছে।

আন্দোলনকারীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক-কর্মকর্তা আপগ্রেডেশন পেয়েছেন। এ বিষয়টি গত ২৯ মে ৩৯তম রিজেন্ট বোর্ডে পাস হওয়ার কথা। অথচ রিজেন্ট বোর্ডের সভায় এ বিষয়টি উত্থাপন করেনি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এতে বিপাকে পড়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারিদের একাংশ। এসময় শূন্য পদের জটিলতা, ডিউ-ডেইট ও আপগ্রেডেশন করার দাবি জানান আন্দোলনকারীরা।

আরও পড়ুন: বশেমুরবিপ্রবি শিক্ষক সমিতি: উপাচার্যের কক্ষ বৃহস্পতিবার পর্যন্ত বন্ধ থাকবে

আন্দোলনকারি শিক্ষক সমিতির সভাপতি মো. ফায়েকুজ্জামান মিয়া বলেন, শূন্য পদের জটিলতা, ডিউ-ডেইট ও আপগ্রেডেশন করার দাবিতে আমরা আন্দোন করছি। আমরা পাঁচ দিনের সময়সীমা বেধে দিয়েছিলাম। ইতোমধ্যে দু’দিন অতিবাহিত হয়েছে। এ বিষয়ে কর্তৃপক্ষের কোনো অগ্রগতি নেই।

তিনি আরও বলেন, উপাচার্য ও কোষাধ্যক্ষ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিনিধিত্ব করেন। তারা কেনো রিজেন্ট বোর্ডে শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারিদের বিষয় উত্থাপন করেননি, তা আমাদের অজানা। আমরা উপাচার্যের কাছে জানতে চেয়েছিলাম, রিজেন্ট বোর্ডে কি বিষয় উত্থাপন করেছিলেন। তার একটা অনুলিপিও আমরা চেয়েছিলাম, কিন্তু আমাদের দেওয়া হয়নি। আজ আমরা উপাচার্যের বাস ভবনে গিয়ে আমাদের বিষয়ে অগ্রগতির কথা জানতে চাইবো। যদি সদুত্তর না দিতে পারেন, তাহলে কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।

প্রসঙ্গত, বশেমুরবিপ্রবির একজন অধ্যাপক, ৭০ জন সহযোগী অধ্যাপক ও দুই শতাধিক সহকারী অধ্যাপক আপগ্রেডেশন পেয়েছেন। আপগ্রেডেশনে পর তারা যে পদ পাবেন, বর্তমানে সেখানে অন্য শিক্ষক আছেন। অর্থাৎ পদটি আপাতত শূন্য নয়। এ অবস্থায় নতুন করে বিজ্ঞপ্তি দিয়ে বা নিয়োগ বোর্ডের মাধ্যমে একই আপগ্রেডেশন পুনরায় করা যথেষ্ট সময়সাপেক্ষ ও অত্যন্ত ব্যয়বহুল। এ কারণে বর্তমানে প্রায় ৩০ জন শিক্ষকের আপগ্রেডেশন বন্ধ রয়েছে।