ক্যাম্পাস

মুক্তিযোদ্ধা কোটা পুনর্বহাল আদেশ বাতিলের দাবিতে উত্তাল ঢাবি

সরকারি চাকরিতে ৩০ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধা কোটা পুনর্বহাল রাখার প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শিক্ষার্থীরা। বৃহস্পতিবার (৬ জুন)  বিকেলে কেন্দ্রীয় শহিদ মিনার এলাকায় সাধারণ শিক্ষার্থীর ব্যানারে এ বিক্ষোভ সমাবেশ আয়োজিত হয়।

এসময় শিক্ষার্থীরা অবিলম্বে সরকারি চাকরিতে সব ধরনের কোটা বাতিলের দাবি জানান। অন্যথায় বৃহত্তর আন্দোলন যাবে বলে হুশিয়ারি দেন তারা।

সমাবেশে সমাজবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী নাহিদ হাসান বলেন, কোটার বিষয়ে যদি কোনো সিদ্ধান্ত নিতে হয়, তাহলে ২০১৮ সালে পরিপত্র বহাল রেখে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আলোচনা সাপেক্ষে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। আমরা হাইকোর্টের এ রায়কে প্রত্যাখ্যান করলাম। শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে সরকারের প্রতি অনুরোধ, তারা যেন এই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করে। যদি সরকারের পক্ষ থেকে আপিল করা না হয়, তাহলে আইন ও রাজপথ উভয় দিকেই আমাদের আন্দোলন অব্যাহত থাকবে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজী শিক্ষার্থী ফারজানা বলেন, কোন যুক্তিতে মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তানদের জন্য ৩০ শতাংশ কোটা রাখা হয়েছে?  কোন যুক্তিকে ২ শতাংশ জনগণের জন্য ৫৬ শতাংশ কোটা রাখা হবে আর বাকি ৯৭ শতাংশ জনগণের জন্য বাকি মাত্র ৪৪ আসন?  কোন যুক্তিতে এ ব্যবস্থা করা হয়েছে আমরা জানতে চাই।

মানববন্ধনের ইংরেজী বিভাগের আরেক শিক্ষার্থী হাসানাত আব্দুল্লাহ বলেন, ২০১৮ সালের রাবারের বুলেটের ঘা এখনো শুকায়নি। সেই নারী নির্যাতনের দৃশ্য আজও ভুলিনি। এ বৈষম্য ঘেরাকোটা ব্যবস্থা কোনোভাবেই শিক্ষার্থীরা মেনে নিবে না। এ কোটা যতদিন থাকবে, আমরা সাধারণ শিক্ষার্থীরা আন্দোলন সংগ্রাম চালিয়ে যাব।

এর আগে, গতকাল বুধবার (৫ জুন) ৩০ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধা কোটাকে অবৈধ ঘোষণা করে উচ্চ আদালতের রায়ের পরই রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে প্রতিবাদী সমাবেশ করেন ঢাবি শিক্ষার্থীরা।

প্রসঙ্গত, সরকারি চাকরিতে প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির মুক্তিযোদ্ধা কোটা বাতিল করে ২০১৮ সালের ৪ অক্টোবর জারি করা পরিপত্র অবৈধ ঘোষণা করেছেন হাইকোর্ট। এ বিষয়ে জারি করা রুল যথাযথ ঘোষণা করে বিচারপতি কে এম কামরুল কাদের ও বিচারপতি খিজির হায়াতের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করেন। এ রায়ের ফলে সরকারি চাকরিতে ৩০ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধা কোটা পদ্ধতি বহাল থাকল বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা।