ক্যাম্পাস

রাতে মশাল মিছিল, দিনে ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন যবিপ্রবি শিক্ষার্থীদের

কোটা পদ্ধতি বাতিল ও ২০১৮ সালের পরিপত্র বহাল রাখার দাবিতে বিক্ষোভ-মিছিল করেছেন যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) শিক্ষার্থীরা। মিছিল পরবর্তী সমাবেশে তারা আগামী সাতদিন বিশ্ববিদ্যালয়ের সব ধরনের ক্লাস-পরীক্ষা বর্জনের ঘোষণা দেন।

এর আগে, শুক্রবার (৫ জুলাই) রাতে একই দাবিতে মশাল হাতে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন যবিপ্রবি শিক্ষার্থীরা। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন তারা।

শনিবার (৬ জুলাই) সকাল সাড়ে ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে সাময়িক সময়ের জন্য যশোর-চৌগাছা স্বাধীনতা সড়ক অবরোধ করে ও বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান প্রধান সড়কে বিক্ষোভ মিছিল করে। মিছিলটি নিয়ে তারা প্রশাসনিক ভবনের নিচে আগামী সাত দিন ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন কর্মসূচি ঘোষণা করেন।

এসময় আন্দোলনকারীরা বলেন, আমাদের এ কোটা বাতিল আন্দোলন যৌক্তিক আন্দোলন। যৌক্তিক এ দাবির বাস্তবায়ন না হলে আমরা থেমে থাকব না। দাবি মেনে না নিলে আন্দোলন আরও কঠোর হবে।

এছাড়া, কোটা বাতিলের দাবিতে শুক্রবার জুমার নামাজের পর বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্মুখ সড়কে বিক্ষোভ করে যবিপ্রবি শিক্ষার্থীরা। পরে রাত ৮টার দিকে শহিদ মিনার চত্বর থেকে মশাল জ্বালিয়ে মিছিল শুরু করেন। পরে মিছিলটি নিয়ে প্রধান ফটকের সামনে সাময়িক সময়ের জন্য যশোর-চৌগাছা স্বাধীনতা সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন তারা।

বিক্ষোভ মিছিলে শিক্ষার্থীদের 'কোটা না মেধা, মেধা মেধা’, ‘আপস না সংগ্রাম, সংগ্রাম সংগ্রাম’, ‘আঠারোর পরিপত্র, পুনর্বহাল করতে হবে’, ‘কোটাপ্রথা নিপাত যাক, মেধাবীরা মুক্তি পাক’, ‘সারা বাংলায় খবর দে, কোটাপ্রথার কবর দে’, ‘আমার সোনার বাংলায়, বৈষম্যের ঠাঁই নাই’, ‘জেগেছে রে জেগেছে, ছাত্রসমাজ জেগেছে’ ইত্যাদি স্লোগান দিতে দেখা যায়।

প্রসঙ্গত, ৯ জুন মুক্তিযোদ্ধা কোটা পদ্ধতি বাতিলের সিদ্ধান্ত অবৈধ ঘোষণা করে হাইকোর্টের রায় স্থগিত না করে আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে শুনানির জন্য পাঠিয়ে দেন চেম্বার আদালত। ওইদিন আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মোতাহার হোসেন সাজু। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল এএম আমিন উদ্দিন। এরপরই নতুন করে দেশের সব বিশ্ববিদ্যালয়ে শুরু হয় কোটাবিরোধী আন্দোলন।