ক্যাম্পাস

কোটা সংস্কারের দাবিতে নোবিপ্রবি শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

সরকারি চাকরিতে কোটা পদ্ধতির সংস্কার ও ২০১৮ সালের পরিপত্র বহালের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছেন নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (নোবিপ্রবি) শিক্ষার্থীরা।

শনিবার (৬ জুলাই) বিশ্ববিদ্যালয়ের শহিদ মিনার প্রাঙ্গণ থেকে মিছিল শুরু করে লাইব্রেরি ভবন,  বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল, গ্যারেজ, শান্তি নিকেতন, ভাষা শহিদ আব্দুস সালাম হল প্রদক্ষিণ করে শহীদ মিনার এসে শেষ হয়। মিছিল শেষে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে সোনাপুর-সুবর্ণচর সড়ক অবরোধ করে রাখে।

এ সময় শিক্ষার্থীরা কোটার বিরুদ্ধে ‘বৈষম্যের ঠাঁই নাই, আমার সোনার বাংলায়’, ‘বঙ্গবন্ধুর বাংলায়, বৈষম্যের ঠাঁই নাই’, ‘জেগেছে রে জেগেছে, ছাত্র সমাজ জেগেছে’, ‘একাত্তরের হাতিয়ার, গর্জে উঠো আরেকবার’, ‘কোটা না মেধা, মেধা মেধা’সহ বিভিন্ন স্লোগান দেন।

সড়ক অবরোধ চলাকালে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা বলেন, বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলার গঠনে সবচেয়ে বড় বাধা হিসেবে দাঁড়িয়ে আছে কোটা পদ্ধতি। স্বাধীনতার ৫৩ বছর পর এসে কোটা পদ্ধতির মাধ্যমে মেধাবীদের সঙ্গে বৈষম্য করা হচ্ছে। বিসিএসে ৫৬ শতাংশ কোটা,  রেলওয়েতে ৮১ শতাংশ কোটাসহ বিভিন্ন চাকরিতে বৈষম্য তৈরি করে মেধাবীশূন্য বাংলাদেশ তৈরি করা হচ্ছে।

তারা আরও বলেন, স্বাধীনতার ৫০ বছর পর কোটা পদ্ধতি রাখা স্বাধীনতার মূল আর্দশের পরিপন্থী। কোটা পদ্ধতি রাখা হোক প্রতিবন্ধী ও ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর জন্য। বর্তমানে বাংলাদেশে যারা সুবিধাবঞ্চিত তারা প্রকৃতপক্ষে কোটার আওতায় পড়ছে না। যেমন- আমাদের উপকূলীয় অঞ্চলের যেসব ভাইয়েরা দুর্যোগ মোকাবিলা করে পড়াশুনা করছেন, তারা প্রকৃতভাবে সুবিধাবঞ্চিত। কিন্তু তারা কোটার অন্তর্ভুক্ত না হয়ে, অর্ধশত বছর আগের মুক্তিযুদ্ধের কোটা বাবা থেকে নাতি পর্যন্ত চলে আসছে, এটা মেনে নেওয়া যায় না। মুক্তিযোদ্ধারা কোনোভাবেই সুবিধাবঞ্চিত নয়।