ক্যাম্পাস

কোটা বাতিলের দাবিতে রাজপথ অবরোধ জবি শিক্ষার্থীদের

পঞ্চম দিনের মতো ২০১৮ সালের পরিপত্র পুনর্বহাল ও কোটা পদ্ধতি বাতিলের জন্য আন্দোলনের করেছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থীরা। শনিবার (৬ জুলাই) বেলা ৩টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা অনুষদ থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যানারে বিক্ষোভ মিছিল বের করে শিক্ষার্থীরা।

মিছিলটি জবি ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় ফটকের সামনে প্রায় ২০ মিনিট অবস্থান করে স্লোগান দিতে থাকেন শিক্ষার্থীরা। এতে রাস্তায় যানচলাচল বন্ধ হয়ে যায়।

পরে গুলিস্তানমুখী বিক্ষোভ মিছিলটি রায়সাহেব বাজার মোড়ে এলে পুলিশ মিছিল নিয়ে অগ্রসর হতে বাধা দেয়। এসময় পুলিশের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের কথা কাটাকাটি হতে দেখা যায়। শেষে পুলিশ তাঁতীবাজার মোড় পর্যন্ত যাওয়ার অনুমতি দিলে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা তাঁতীবাজার মোড়ে এসে সড়ক অবরোধ করেন। এতে পুরান ঢাকা এলাকায় যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। গুলিস্তান থেকে বাবুবাজার মোড়, সদরঘাট, যাত্রাবাড়ী রুটের যান চলাচল বন্ধ ছিল।

এসময় শিক্ষার্থীদের ‘নো কোটা, নো ডিসক্রিমিনেশন’, ‘সংবিধানের মূল কথা, সবার জন্য সমতা’, ‘বঙ্গবন্ধুর বাংলায়, বৈষম্যের ঠাঁই নাই’, ‘সারা বাংলায় খবর দে, কোটা প্রথার কবর দে’, ‘মুক্তিযুদ্ধের হাতিয়ার, গর্জে ওঠো আরেকবার’, ‘জেগেছে রে জেগেছে, ছাত্র সমাজ জেগেছে’, ‘সংগ্রাম না রাজপথ, রাজপথ রাজপথ’, ‘এই বাংলায় হবে না, বৈষম্যের ঠিকানা’, ‘আঠারোর হাতিয়ার, গর্জে ওঠো আরেকবার’, ‘আমার সোনার বাংলায়, বৈষম্যের ঠাঁই নাই’, ‘এসো ভাই এসো বোন, গড়ে তুলি আন্দোলন’সহ বিভিন্ন ধরনের ব্যানার, পোস্টার প্রদর্শন এবং কোটাবিরোধী এসব স্লোগান দিতে শোনা যায়। এ ছাড়াও আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা গান গেয়ে, কবিতা আবৃত্তি করে অবরোধ পালন করেন।

আন্দোলনের সমন্বয়কারীদের একজন বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী জসিম উদ্দীন রাইজিং বিডিকে বলেন, আমাদের দাবি সরকারি চাকরিতে সব ধরনের কোটা বাতিল করতে হবে। কোনো নির্দিষ্ট কোটার বিরুদ্ধে আমাদের আন্দোলন নয়। আমাদের আন্দোলন বৈষম্যমূলক কোটা প্রথার বিরুদ্ধে। আমরা ইতোমধ্যে চারটি দাবি জানিয়েছি। সেগুলো মেনে নিতে হবে। দাবি মানা না হলে আমাদের আন্দোলন অব্যাহত থাকবে।

আরেক সমন্বয়কারী সাজ্জাদ হোসেন মুন্না বলেন, এটি সাধারণ শিক্ষার্থীদের আন্দোলন। দেশের সব সাধারণ শিক্ষার্থীরা এই আন্দোলনে একাত্মতা পোষণ করেছেন। আন্দোলনে অংশগ্রহণ করছেন। আমাদের দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে।