ক্যাম্পাস

আবারও রেললাইন অবরোধ বাকৃবি শিক্ষার্থীদের

সরকারি চাকরিতে নিয়োগের ক্ষেত্রে কোটা প্রথা সংস্কারে এক দফা দাবিতে আন্দোলন করছে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) শিক্ষার্থীরা। সোমবার (৮ জুলাই) দাবি আদায়ে তৃতীয় দিনেও ঢাকা থেকে জামালপুরগামী জামালপুর এক্সপ্রেস ট্রেনটি দেড় ঘণ্টা অবরোধ করে রাখেন শিক্ষার্থীরা।

তাদের এক দফা দাবি হলো- সরকারি চাকরির সব গ্রেডে অযৌক্তিক ও বৈষম্যমূলক কোটা বাতিল করে সংবিধানে উল্লিখিত অনগ্রসর গোষ্ঠী ও বিশেষ চাহিদাসম্পন্নদের জন্য ন্যায্যতার ভিত্তিতে নূন্যতম পর্যায়ে এনে সংসদে আইন পাস করে কোটা পদ্ধতি সংস্কার করতে হবে।

চাকরিতে সরাসরি নিয়োগের ক্ষেত্রে মুক্তিযোদ্ধা কোটা বাতিলের পরিপত্র অবৈধ ঘোষণার রায়ের শুনানি মুলতবি করে রাখার প্রতিবাদে সোমবার (৮ জুলাই) বেলা ১২টায় বিভিন্ন হল থেকে মুক্তমঞ্চে এসে সমবেত হন শিক্ষার্থীরা। সেখান থেকে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেআর মার্কেট হয়ে আব্দুল জব্বার মোড়ে যান তারা। বিক্ষোভ চলাকালে দুপুর ১টা ৩০ মিনিটে ঢাকা থেকে জামালপুরগামী জামালপুর এক্সপ্রেস ট্রেনটি আব্দুল জব্বার মোড় সংলগ্ন রেললাইনে আসতে থাকলে সেটা ঠেকিয়ে দেন তারা। ১ ঘণ্টা ৪০ মিনিট অবরোধ করে রাখার পর বিকেল ৩টা ১০ মিনিটে রেললাইন থেকে সরে আসেন শিক্ষার্থীরা। এরপরই ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়। 

অবরোধ চলাকালীন বিশ্ববিদ্যালয় স্নাতকোত্তর শিক্ষার্থী নিশাত আনজুম মিথিলা বলেন, একটি দেশের অনগ্রসর জনগোষ্ঠীকে এগিয়ে নেওয়ার জন্য কোটা পদ্ধতির অবশ্যই দরকার আছে। প্রতিবন্ধী, ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী এবং বঞ্চিত শ্রেণি রয়েছে, তাদের কোটার প্রয়োজন আছে। কিন্তু স্বাধীনতার ৫৩ বছর পরেও মুক্তিযোদ্ধার তৃতীয় প্রজন্ম পর্যন্ত কোটা বর্ধিতকরণ করা হয়েছে সেটা অত্যন্ত বর্বর এবং বৈষম্যমূলক। তাই আমরা চাই, সরকারি চাকরিতে যে বিভিন্ন মাত্রায় কোটা বৈষম্য রয়েছে সেগুলো সংস্কার করে যৌক্তিক মাত্রায় আনতে হবে।

আন্দোলনরত শিক্ষার্থী আব্দুল্লা আল মুন্না বলেন,  মুক্তিযুদ্ধের সময়ে শহিদদের প্রাণের পাশাপাশি মা-বোনদের সম্ভ্রমও আমরা হারিয়েছি। কোটা দিতে হলে সেই মা-বোনদের প্রজন্মকেও কোটা দিতে হবে, যা বর্তমানে কিছুতেই সম্ভব না। হাইকোর্ট যদি বৈষম্যমূলক এ কোটা বাতিলের রায় না দেন, তাহলে ছাত্রসমাজ পড়ার টেবিলে ফিরবে না। রাজপথে থেকে দুর্বার আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।