ক্যাম্পাস

নোবিপ্রবি ও বশেমুরবিপ্রবিতে কর্মবিরতি অব্যাহত

জারিকৃত সর্বজনীন পেনশন ‘প্রত্যয় স্কিম’ প্রত্যাহারসহ তিন দফা দাবিতে নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (নোবিপ্রবি) ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বশেমুরবিপ্রবি) সর্বাত্মক কর্মবিরতি পালন করা হয়েছে।

সোমবার (৮ জুলাই) নোবিপ্রবি কর্মরত শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা প্রতিবাদী গান ও স্লোগানে পেনশন সংক্রান্ত বৈষম্যমূলক প্রজ্ঞাপন প্রত্যাহারের দাবি জানান।

এদিকে আন্দোলনের ফলে বন্ধ রয়েছে ক্লাস-পরীক্ষা কার্যক্রম। ফলে বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়েছে। 

আন্দোলনের বিষয়ে শিক্ষক সমিতির নেতারা বলেন, পেনশন সংক্রান্ত বৈষম্যমূলক প্রজ্ঞাপন প্রত্যাহারসহ তিন দফা দাবিতে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের কর্মসূচি অনুযায়ী নোবিপ্রবিতে কর্মরত শিক্ষকরা কর্মবিরতি পালন করছে। দাবি মেনে না নেওয়া পর্যন্ত শিক্ষকরা ক্লাস-পরীক্ষা ও সব ধরনের দাপ্তরিক কার্যক্রম থেকে বিরত থাকবেন।

আন্দোলনের বিষয়ে অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশন ও কর্মচারিদের নেতারা বলেন, পেনশন স্কিম নীতিমালা প্রত্যাহার ও ইউজিসির অভিন্ন নীতিমালায় ১২ দফা সংযোজনের দাবিতে বাংলাদেশ আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় অফিসার্স ফেডারেশনের কর্মসূচি অনুযায়ী নোবিপ্রবিতে বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তারা কর্মবিরতি পালন করছে। দাবি না মেনে নেওয়া পর্যন্ত এই কর্মবিরতি অব্যাহত থাকবে।

এদিকে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশন কর্তৃক জারিকৃত তিন দফা দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত শ্রেণি কক্ষে ফেরা হবে না বলে জানিয়েছেন বশেমুরবিপ্রবি শিক্ষক সমিতির সভাপতি ফায়েকুজ্জামান মিয়া।

সোমবার বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সর্বাত্মক কর্মসূচির ষষ্ঠ দিনে স্যার জগদীশ চন্দ্র বসু একাডেমিক ভবনের নিচ তলায় এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা জানান।

আলোচনা সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সর্বাত্মক কর্মসূচির অংশ হিসেবে আজকে ষষ্ঠ দিনের মত আমরা অবস্থান কর্মসূচি পালন করছি। বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদেরকে প্রত্যয় স্কিমে অর্ন্তভূক্তি থেকে বাতিল, বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের স্বতন্ত্র বেতন স্কেল প্রবর্তন এবং সুপার গ্রেডে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের অন্তর্ভুক্তির দাবি নিয়ে আমাদের কর্মসূচি শুরু হয়েছে।

এক প্রশ্নের জবাবে ফায়েকুজ্জামান বলেন, আমরা যে সর্বাত্মক কর্মবিরতি পালন করছি সেটি কিন্তু আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের একার না। এ সিদ্ধান্তটি বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের। শিক্ষার্থীদের ক্ষতি পূরণ করার জন্য ইতোমধ্যে আমরা বিভাগগুলোতে যোগাযোগ করছি। বিভাগীয় সভাপতিদের এবিষয়ে অনুরোধ করা হয়েছে। শিক্ষকদের দাবি পূরণ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তাদের শ্রেণি কার্যক্রম এবং পরীক্ষা নিয়ে নিতে হবে।