কোটা সংস্কার ইস্যুতে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের পর ছাত্রলীগ ও সাধারণ শিক্ষার্থীরা মুখোমুখি অবস্থানে রয়েছেন। প্রায় সব পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগ এবং কোটা সংস্কার আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষে ক্যাম্পাসগুলো ছিল কার্যত এক রণক্ষেত্র।
এছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে বহিরাগত ছাত্রলীগের হামলার ঘটনায় তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন খোদ সংগঠনটিরই অনেক নেতাকর্মীরা। ছাত্রলীগের বিভিন্ন প্রশ্নবিদ্ধ কর্মকাণ্ডের কারণে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) অ্যাকাউন্টিং অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেম (এআইএস) শাখা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের স্বেচ্ছায় পদত্যাগের হিড়িক পড়ে গেছে।
ইতোমধ্যে একজন বাদে কমিটির সবাই এক বিবৃতির মাধ্যমে সেচ্ছায় পদত্যাগের কথা জানিয়েছেন এবং সর্বসম্মতিক্রমে কমিটিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করেছেন পদত্যাগকারীরা।
শনিবার (৩ আগস্ট) একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে পদত্যাগের বিষয়টি নিশ্চিত করেন তারা।
এছাড়া ছাত্রলীগের যেসব নেতাকর্মীরা সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর হামলায় সক্রিয়ভাবে অংশ নিয়েছেন তাদের বিভাগ ভিত্তিক সামাজিকভাবে বয়কটের ঘোষণা দিয়েছেন যবিপ্রবির সাধারণ শিক্ষার্থীরা। একইসঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মসিযূর রহমান হলকে পুরোপুরি ছাত্র রাজনীতি মুক্ত ঘোষণা করেছেন শিক্ষার্থীরা।
এর আগে, গত ১৫ জুলাই সংবাদ সম্মেলনে কোটা ইস্যুতে প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া বক্তব্যের পর থেকে এই পদত্যাগের বিষয়টি সামনে আসতে থাকে।
যবিপ্রবি এআইএস শাখা ছাত্রলীগের পদত্যাগকারীদের মধ্যে রয়েছেন- আব্দুল্লাহ আল মান্নান রিয়াজ (যুগ্ম আহ্বায়ক), শেখ শরিফুল ইসলাম(যুগ্ম আহ্বায়ক), মো. খালেদ মোশাররফ (যুগ্ম আহ্বায়ক), আকিব ইবনে সাইদ (যুগ্ম আহ্বায়ক), মো. আবদুস সালাম (যুগ্ম আহ্বায়ক) এবং সদস্যদের মধ্যে রয়েছেন অনিক সাহা, ইমন হাওলাদার, মো. হামিম ফয়সাল (আলিফ), মো. রাশেদ হাসান, রেজাউজ্জামান সোহান, রাজিব সাহা, মেহেদী হাসান সাজু, আব্দুল্লাহ আল মারুফ ও মো. মেজবাহ।
এ বিষয়ে যুগ্ম আহ্বায়ক মো. আব্দুল্লাহ আল মান্নান রিয়াজের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, এআইএস শাখা ছাত্রলীগের আহ্বায়ক আবির হোসেন রয়েল বাদে আমরা বাকি সবাই পদত্যাগ করেছি । ছাত্রলীগের বিভিন্ন প্রশ্নবিদ্ধ কর্মকাণ্ডের কারণে আমরা তখন থেকেই পদত্যাগের উদ্যোগে নিই । প্রথমদিকে সবাই আলাদা আলাদাভাবে ফেসবুক পোস্টের মাধ্যমে পদত্যাগ করছিলেন। কিন্তু এখন সবাই একসঙ্গে বিবৃতি দিয়ে আমরা পদত্যাগ করেছি।
তিনি আরও বলেন, আমি চাই এ যবিপ্রবি পুরোপুরি রাজনীতি মুক্ত একটা ক্যাম্পাস হোক।