ক্যাম্পাস

নোবিপ্রবিতে রাজনীতি নিষিদ্ধসহ ৪ দাবি শিক্ষার্থীদের

সব ধরনের সন্ত্রাস ও লেজুড়বৃত্তিক ছাত্র ও শিক্ষক রাজনীতি নিষিদ্ধ করাসহ চার দফা দাবি জানিয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (নোবিপ্রবি) শাখার সমন্বয়করা।

বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) সকালে দেওয়া এক বিবৃতিতে তারা এ দাবি জানান।

রাজনীতি নিষিদ্ধ ছাড়াও শিক্ষার্থীদের বাকি তিনটি দাবিগুলো হলো- উপাচার্য, উপ উপাচার্য, কোষাধ্যক্ষ, রেজিস্ট্রার, প্রক্টর, ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা বিভাগের পরিচালক, আইকিউএসসির পরিচালক এবং অতিরিক্ত পরিচালকসহ সব প্রাধ্যক্ষকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে প্রকাশ্যে ক্ষমা চেয়ে পদত্যাগ করতে হবে। যেসব শিক্ষার্থী বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীদের হুমকি দিয়েছে কিংবা আন্দোলনের বিরুদ্ধে সমর্থন দিয়েছে, তাঁদের আবাসিক হলের আসন আজীবনের জন্য বাতিল করতে হবে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক ও সাধারণ শিক্ষার্থীদের পরামর্শের ভিত্তিতে হলের নাম পরিবর্তন করতে হবে।

এ বিষয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নোবিপ্রবি শাখার সমন্বয়ক জাহিদুর রহমান বলেন, কোটা সংস্কার আন্দোলন চলাকালে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের এসব ব্যক্তি শিক্ষার্থীদের পাশে দাঁড়াননি। নিহত শিক্ষার্থীদের বিষয়েও তাদের কোনো সহানুভূতি ছিল না। তাছাড়া উল্লিখিত কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয়ে নানা অনিয়ম ও অব্যবস্থাপনার অভিযোগ রয়েছে। এ পরিস্থিতিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সুস্থ শিক্ষার পরিবেশ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে এ দাবি জানানো হয়েছে।

আল জকি হোসাইন নামে আরেক সমন্বয়ক বলেন, সমন্বয়ক হিসেবে না বলে একজন শিক্ষার্থী হিসেবে আমি বলবো, আমার দেশ গঠনে আমরাই যথেষ্ট। আমাদের বলিষ্ঠ কণ্ঠস্বর এবং উদ্যমী মনোবল পারে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ দেশের সমস্ত সীমাবদ্ধতা দূর করতে। বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সার্বিক অরাজকতা রুখতে এবং তার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট অংশীদারদের প্রকৃত শিক্ষা দিতে আমরা বদ্ধ পরিকর।

তিনি আরও বলেন, এ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের কর্তাব্যক্তিরা শিক্ষার্থীবান্ধব নয়। এরা দলকানা এবং স্বার্থান্ধ। আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের পাশে না দাঁড়িয়ে তারা নিজেকে নিয়ে মেতেছিল। যে প্রশাসন আমাদের কথা চিন্তা করতে দ্বিধাবোধ করে, তারা কখনোই প্রশাসনে থাকার যোগ্যতা রাখতে পারে না।