ক্যাম্পাস

চবি প্রশাসনের পদত্যাগসহ শিক্ষার্থীদের ৫ দফা দাবি

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) প্রশাসনের পদত্যাগসহ ৫ দফা দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়টির সাধারণ শিক্ষার্থীরা। শুক্রবার (৯ আগস্ট) দুপুর ১২টার দিকে শিক্ষার্থীরা চাকসু কেন্দ্র থেকে মিছিলটি বের করেন। এসময় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়করা উপস্থিত ছিলেন। 

এর আগে, আজ সকাল সাড়ে ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের চাকসু কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে চবি প্রশাসনের পদত্যাগের আল্টিমেটাম ঘোষণা দেওয়া হয়। এসময় শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে ৫ দফা দাবি দেওয়া হয়। 

সংবাদ সম্মেলনে সাধারণ শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে যেসব দাবি করা হয়েছ সেগুলো হলো- 

১) প্রক্টরিয়াল বডি, সব হল প্রভোস্টদের এবং ভিসি ও প্রো-ভিসিকে (একাডেমিক ও প্রশাসনিক) দুপুর ১২ টার মধ্যে পদত্যাগ করতে হবে। 

২) নতুন প্রশাসন নিয়োগের ক্ষেত্রে চিহ্নিত দালাল (সন্ত্রাস ও স্বৈরাচারের সহযোগী, দুর্নীতিবাজ, অবৈধ উপায়ে নিয়োগকৃতদের) পদায়ন করা যাবে না। গত দুই বছরে অবৈধ উপায়ে নিয়োগকৃতদের (অস্থায়ী) নিয়োগ বাতিল করতে হবে। 

৩) দ্রুত হল খুলে দিয়ে ন্যায্যতার ভিত্তিতে সিট বারাদ্দ দিতে হবে। সেক্ষেত্রে নতুন করে অনলাইনে ফরম দিতে হবে। পূর্বের সংগ্রহিত ফরম বাতিল বলে গণ্য হবে। 

৪) অছাত্র, চিহ্নিত সন্ত্রাসীরা আবাসিক হলে থাকতে পারবে না। 

৫) নতুন প্রশাসনকে আগামী ৪ মাসের মধ্যে চাকসু নির্বাচনের ব্যবস্থা করতে হবে।

এছাড়া শিক্ষার্থীরা বিশেষ দ্রষ্টব্য হিসেবে উল্লেখ করেন শিক্ষার্থীদের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট সব দাবি শিক্ষার্থীদের মতামতের ভিত্তিতে নতুন প্রশাসনের কাছে উত্থাপন করা হবে।

সংবাদ সম্মেলনে কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক রাসেল আহমেদ বলেন, সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনায় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, উপ-উপাচার্য, প্রক্টর ও প্রভোস্টগণের ভূমিকা ছিল। তারা সাধারণ শিক্ষার্থীদেরকে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পারেনি। দায়িত্ব পালন করতে তারা ব্যর্থ হয়েছেন। 

ক্যাম্পাসে ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধের বিষয়ে সমন্বয়ক মাহফুজুর রহমান বলেন, ছাত্রলীগের নেতৃত্বে সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনায় সংযুক্ত থাকা প্রশাসনের কাছে আমরা এই দাবি জানাবো না। তারা এই প্রশাসনে থাকার বৈধতা হারিয়েছেন।