সড়কে ট্রাফিকের দায়িত্ব পালন করা সাধারণ শিক্ষার্থীদের পাশে দাঁড়িয়ে উৎসাহ দিচ্ছেন বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ। কেউ দিচ্ছেন পানির বোতল, কেউ দিচ্ছেন খাবার, আবার কেউ ছাতা। সবাই নিজ নিজ অবস্থান থেকে অবদান রাখার চেষ্টা করছেন।
রোববার (১১ আগস্ট) দুপুরে রাজধানীর কারওয়ান বাজার, বাংলা মোটর এলাকায় দেখা গেছে, কয়েকটি সংগঠনের পাশাপাশি বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ শিক্ষার্থীদের পাশে দাঁড়িয়েছেন।
এদের একজন বেসরকারি চাকরিজীবী সাজ্জাদুর রহমান শুভ জানান, আন্দোলনের ফলে আমরা নতুন দেশ পেয়েছি। যাকে আমরা বলছি বাংলাদেশ ২.০। আমাদের এ স্বাধীনতা রক্ষা করতে হবে। যার যার জায়গা থেকে আমাদের কাজ করতে হবে। সাধারণ ছাত্র-জনতা মিলিত হয়ে ট্রাফিক পুলিশ কন্ট্রোলিং’র কাজ করছে। এ ছাড়া দেয়ালে দেয়ালে যে রাজনৈতিক পোস্টার, অনাকাঙ্ক্ষিত লেখা ছিলো; সেগুলো আমরা নতুন করে রং-তুলি দিয়ে রাঙিয়েছি। এ শহরের দেয়াল এখন থেকে তারুণ্যের কথা বলবে। বিজয়ের কথা বলবে।
‘দেশ গড়তে শুধু শিক্ষার্থীদের কাজ করলে হবে না। তাদের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে সব শ্রেণি-পেশার মানুষের এগিয়ে আসতে হবে। সবার অংশগ্রহণেই ফের ঘুরে দাঁড়াবে সোনার বাংলাদেশ। যেখানে থাকবে না কোনও দুর্নীতি চাঁদাবাজি’— বলছিলেন গণমাধ্যমকর্মী মোসাদ্দেক বিল্লাহ সুজন। তিনি বলেন, ‘এই ছাত্র-জনতা দিনরাত পরিশ্রম করে রাস্তায় ট্রাফিকের দায়িত্ব পালন করছে। আমরা নিজেদের জায়গা থেকে তাদের খাবারের ব্যবস্থা করেছি। রোদ-বৃষ্টি থেকে শিক্ষার্থীদের বাঁচাতে কিছু ছাতা দিয়েছি। বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনগুলো এগিয়ে আসলে সাধারণ শিক্ষার্থীদের দায়িত্ব পালন করতে সহজ হবে’।
তরুণ উদ্যেক্তা তানভির উদ্দিন শিকদার বলছিলেন দেশের স্বার্থের কথা। তার ভাষ্য, এই ছাত্ররা সবাইকে অনুপ্রাণিত করে, সাহস যোগায়। দেশটা তরুণদের হাত ধরেই সামনে এগিয়ে যাবে। এই দেশ আমার, আমাদের। যুদ্ধে জয় ছিনিয়ে আনার জন্য সৈনিকদের পাশে থাকা যেমন প্রয়োজন, ঠিক তেমনি যুদ্ধে জয়লাভের পর দেশকে ঢেলে সাজানোর জন্য সৈনিকদের পাশে থাকাটাও আমাদের কর্তব্য।