বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আহত শিক্ষার্থী ও সাধারণ মানুষদের জন্য আর্থিক সহায়তা নিয়ে এগিয়ে এসেছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) বিভিন্ন ক্লাব। সম্প্রতি ক্লাবগুলোর নেতাকর্মীরা চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে গিয়ে আহতদের আর্থিক সাহায্য দেন এবং সমবেদনা প্রকাশ করেন।
ক্লাবগুলোর নেতাকর্মীরা বলেছেন, আন্দোলনকালে শুধু শিক্ষার্থী নন, অনেক সাধারণ মানুষও আহত হয়েছেন। আহতদের অনেকের পরিবারের আর্থিক অবস্থা অত্যন্ত শোচনীয়। চমেক হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাদের বিনামূল্যে চিকিৎসাসেবা দিচ্ছে। আমরা বিশ্বাস করি, আমাদের ছোট্ট একটি প্রচেষ্টা তাদের এই কঠিন সময়ে কিছুটা হলেও স্বস্তি এনে দিতে পারবে। চিকিৎসাধীন থাকায় তাদের আয়-রোজগার বন্ধ আছে। পরিবারের সদস্যদেরও পোহাতে হচ্ছে দুর্ভোগ। তাদেরকে আর্থিক সহযোগিতা ও দেখভালের জন্য এগিয়ে আসছেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সংগঠনের সদস্যরা।
চিটাগং ইউনিভার্সিটি মডেল ইউনাইটেড ন্যাশনের সভাপতি ইশফাকুল কবির আসিফ বলেন, আমরা ৫ আগস্টের আগে চবি’র বিভিন্ন ক্লাবের সমন্বয়ে আহতদের সহায়তায় ফান্ড গঠন করে একটি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খুলেছি। এখানে অনেকেই সাহায্য পাঠাচ্ছেন। এটি ১৭ আগস্ট পর্যন্ত চলবে। আমরা আহতের পাশে দাঁড়িয়েছি। আমরা পর্যাপ্ত অর্থ নিয়ে তাদের পাশে থাকব।
চিটাগং ইউনিভার্সিটি রিসার্চ অ্যান্ড হায়ার স্টাডিজ সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক কাবেরী দাশ বলেন, আন্দোলনে আহতদের সম্পূর্ণ বিনামূল্যে চিকিৎসাসেবা দিচ্ছে চমেক হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। তবে, ৫ তারিখের পর যারা আহত হয়ে ভর্তি হয়েছেন, তাদের বিনামূল্যে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে না। আমরা আহতদের চিকিৎসার পাশাপাশি তাদের পরিবারের ভরণপোষণের জন্য সাহায্য করছি। সামনে বৃহৎ পরিসরে আরো সাহায্য করব। চবির যেসব আহত শিক্ষার্থী রয়েছে, আমরা তাদের সাথে যোগাযোগ করছি। আমাদের সাধ্য অনুযায়ী সহায়তা করব।
চিটাগং ইউনিভার্সিটি স্কুল অব ডিবেটের সভাপতি ইলহাম শারাব বলেন, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন করতে গিয়ে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীসহ পুরো দেশে অসংখ্য শিক্ষার্থী ও সাধারণ মানুষ আহত হয়েছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ে বিভিন্ন ক্লাব সংগঠিত হয়ে বীর যোদ্ধাদের সহায়তা করতে আমরা চেষ্টা করছি। বিজয়ের পর এখন আহতদের পাশে থাকাই আমাদের প্রধান কাজ।