বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (পাবিপ্রবি) ছয়জন সমন্বয়ক ও ১৯ জন সহ-সমন্বয়ক পদত্যাগ করেছেন।
সোমবার (১৯ আগস্ট) দুপুরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলে সাধারণ শিক্ষার্থীদের সামনে এই ঘোষণা দেন পাবিপ্রবি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক মিরাজুল ইসলাম। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যান্য সমন্বয়ক ও সহ-সমন্বয়করাও এই বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মিরাজুল ইসলাম বলেন, গত কয়েকদিন ধরে সাধারণ শিক্ষার্থীরা পাবিপ্রবি সমন্বয়কদের নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নানা অভিযোগ তুলছেন। সমন্বয়ক হিসেবে আমরা এখন পর্যন্ত কারও কাছ থেকে কোনো সুযোগ-সুবিধা গ্রহণ করিনি। এরপরেও সাধারণ শিক্ষার্থীরা যেহেতু আমাদের নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন, সেহেতু আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ে আর সমন্বয়ক হিসেবে থাকতে চাচ্ছি না। এখন থেকে পাবিপ্রবিতে সমন্বয়ক পরিচয়ে আর কেউ থাকবেন না, সবাই সাধারণ শিক্ষার্থী। সাধারণ শিক্ষার্থীরাই বিশ্ববিদ্যালয়ে তাদের ভালো-খারাপ দেখভাল করবে।
এদিকে শিক্ষার্থীরা জানিয়েছেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে সমন্বয়কদের অনেকেই নিজেদের সমন্বয়ক পরিচয় আলাদা ফায়দা হাসিলের চেষ্টা করছেন। সাধারণ শিক্ষার্থীদের কথা সমন্বয়করা শুনছেন না। সেজন্য তারা সমন্বয়কদের পদত্যাগের দাবি তুলেছেন।
উল্লেখ্য, গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকার পদত্যাগের পর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পাবনা জেলা কমিটি গঠন নিয়ে শিক্ষার্থীদের মধ্যে দ্বন্দ্ব শুরু হয়। পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় এবং সরকারি অ্যাডওয়ার্ড কলেজের সমন্বয়ক শিক্ষার্থীরা দুই গ্রুপে ভাগ হয়ে পড়েন। এর মধ্যে আবার শিক্ষার্থীদের আরেকটি পক্ষ কমিটির নেতৃত্বে আসার চেষ্টা করেন। সম্প্রতি পাবনা প্রেসক্লাবে কমিটি গঠন নিয়ে সংবাদ সম্মেলন আহ্বান করা হলেও সেখানে দ্বন্দ্বের কারণে সংবাদ সম্মেলন ও কমিটি গঠন ভেস্তে যায়।