বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে রাজধানীর লক্ষ্মীবাজার এলাকায় কবি নজরুল কলেজের ছাত্র ওমর ফারুককে গুলি করে হত্যার অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়েছে। এ মামলার ৪৯ জন আসামির মধ্যে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) ছাত্রলীগের সাত নেতা রয়েছেন।
তারা হলেন, জবি ছাত্রলীগের সভাপতি ইব্রাহীম ফরাজী, সাধারণ সম্পাদক এসএম আকতার হোসাইন, সহ-সভাপতি মহিউদ্দিন অনি, ইব্রাহিম সানিম, আবুল হোসেন পরাগ, সাংগঠনিক সম্পাদক রিফাত সাঈদ এবং সাবেক সভাপতি তরিকুল ইসলাম।
এছাড়া জবি ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি শরিফুল ইসলামের ভাই ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশে অবস্থিত পুলিশ ফাঁড়ির একসময় দায়িত্বে থাকা আলোচিত পুলিশ উপপরিদর্শক নাহিদুল ইসলামকেও আসামি করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (২০ আগস্ট) দুপুরে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তরিকুল ইসলামের আদালতে মামলাটি করেন নিহত কলেজ ছাত্রের মা কুলছুমা আক্তার। এ সময় আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে সূত্রাপুর থানা পুলিশকে অভিযোগটি এজাহার হিসেবে গ্রহণের নির্দেশ দেন।
উল্লেখ্য, দায়েরকৃত এ হত্যা মামলায় শেখ হাসিনাকে প্রধান করে ৪৯ জনকে আসামি করা হয়। মামলায় উল্লেখযোগ্য আসামিরা হলেন- সাবেক সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, সাবেক মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস, সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ, সাবেক প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, সাবেক তথ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত, সাবেক এমপি জাহাঙ্গীর কবির নানক প্রমুখ।
মামলায় অভিযোগ করা হয়, গত ১৯ জুলাই জবি নজরুল সরকারি কলেজের ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র ওমর ফারুক কলেজের মূল গেটের সামনে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে বন্ধুদের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। এ সময় বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে আসামিরা ওমর ফারুকের বুকে পিঠে একাধিক গুলি করেন। পরে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নিলে তার মৃত্যু হয়।