ক্যাম্পাস

বৈষম্যহীন নিয়োগ দাবি ইবির ১৮তম নিবন্ধন প্রত্যাশীদের

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছেন ১৮তম নিবন্ধনে নিয়োগ প্রত্যাশিরা। বুধবার (১১ সেপ্টেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টায় ১৮ ও ১৯তম নিবন্ধন পরীক্ষার্থীদের ব্যানারে বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলা থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করেন তারা।

মিছিলটি ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে গিয়ে শেষ হয়। পরে সেখানে সমাবেশ করে তারা।

এ সময় তাদের হাতে ‘১৮তম নিবন্ধনের ফলাফল দ্রুত প্রকাশ করতে হবে’, ‘মেধা ছাড়া শিক্ষক, অযোগ্য অযোগ্য’, ‘১৮তম বাদ রেখে, গণবিজ্ঞপ্তি চলবে না’, ‘স্বাধীন এই বাংলায়, বৈষম্যের ঠাঁই নাই’, ‘অবৈধ বিজ্ঞপ্তি যেখানে, লড়াই হবে সেখানে’, ‘আদু ভাইদের বিশেষ গণবিজ্ঞপ্তি, মানি না মানবো না’, ‘সেপ্টেম্বরে রেজাল্ট দিন, নভেম্বরে নিয়োগ দিন’, ‘জাল সনদের আস্তানা, ভেঙে দাও গুড়িয়ে দাও’, ‘শিক্ষক নিয়োগে রাজনীতি, অন্যায় অবিচার’সহ বিভিন্ন লেখা সম্বলিত প্লা-কার্ড দেখা যায়।

সমাবেশে বিক্ষোভকারীরা ১৮তম নিবন্ধন এর চূড়ান্ত ফলাফল প্রকাশ না করে আর কোন গণবিজ্ঞপ্তি না দেয়ার আহ্বান জানান বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন কর্তৃপক্ষের (এনটিআরসিএ) কাছে। তারা বলেন, ১৮তম নিবন্ধনে লিখিত পরীক্ষা দিয়েছে প্রায় সাড়ে ৩ লাখ প্রার্থী। শিক্ষক সংকট দূর করতে ১৮তমদের অগ্রাধিকার দিতে হবে। পাশাপাশি জাল সনদধারীদের চিহ্নিত করে নিয়োগ বাতিল করতে হবে। আর চলমান নিয়োগ প্রক্রিয়া যত দ্রুত সম্ভব শেষ করতে হবে। এটি শেষ না হওয়ার আগে আমরা আর কোনো গণবিজ্ঞপ্তি চাই না।

এ সময় তারা মোট নয়টি দাবি তুলে ধরেন। দাবিগুলো হলো— ১৮তম নিবন্ধনের ফলাফলের আগে কোনো বিশেষ গণবিজ্ঞপ্তি নয়; ১৮তম পরীক্ষার্থীদের লিখিত ফলাফল সেপ্টেম্বরের মধ্যে দিতে হবে এবং অক্টোবরে মৌখিক পরীক্ষা সম্পন্ন করে চূড়ান্ত ফলাফল প্রকাশ করতে হবে; শিক্ষক সংকট দূরীকরণে ১৮তমদের অগ্রাধিকার  দিতে হবে; এনটিআরসিএ’র পরিপত্র অনুযায়ী  নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হবে; ৬০ হাজার জাল সনদধারীদের নিয়োগ বাতিল করতে হবে; ডিসেম্বরের মধ্যে ১৮তমদের নিয়ে ষষ্ঠ গণবিজ্ঞপ্তি দিতে হবে; অটো এমপিও চালু করতে হবে; ১ থেকে ১২তমদের আদালতের  রায় বহাল রাখতে হবে এবং বৈষম্যমূলক বিশেষ গণবিজ্ঞপ্তি প্রত্যাহার করতে হবে।