নবাব স্যার সলিমুল্লাহকে স্মরণ করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) সলিমুল্লাহ মুসলিম হলের শিক্ষক, ছাত্র, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা। বুধবার (১১ সেপ্টেম্বর) বিকেলে হল প্রাধ্যক্ষ ড. আব্দুল্লাহ-আল-মামুনের নেতৃত্বে নবার স্যার সলিমুল্লাহর কবর জিয়ারত ও পুষ্পস্তবক অর্পণ করে তাঁর প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়।
তবে, এর আগে কখনো আনুষ্ঠানিকভাবে নবাব স্যার সলিমুল্লাহকে স্মরণ করা হয়নি বলে জানা গেছে।
সলিমুল্লাহ মুসলিম হলের শিক্ষার্থী রায়হান উদ্দিন বলেন, আমরা সলিমুল্লাহ মুসলিম হলের শিক্ষার্থীরা আসলে অত্যন্ত খুশি। কারণ প্রথমবারের মতো সলিমুল্লাহ মুসলিম হল থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠায় যার অবদান অনস্বীকার্য তার কবর জিয়ারত করতে পেরেছি। আমরা শুনেছি, বিগত ৩০ বছরেও এমন কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। মানুষ ভুলে যেতে বসেছিলেন নবাব স্যার সলিমুল্লাহ ও তার অবদানকে। এমনকি মাত্র ১ কিলোমিটার দূরে পুরান ঢাকার বেগম বাজারে তার কবর। বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র তো দূরের কথা, সলিমুল্লাহ মুসলিম হলের শিক্ষার্থীদের অনেকেই এ জিনিসটা জানেন না। তার কবর জিয়ারত করতে পেরে আমরা অত্যন্ত খুশি। আমরা চাই এ ধারাটা যেন অব্যাহত থাকে।
হলের আরেক শিক্ষার্থী মাঈনুল ইসলাম বলেন, এটি একটি ঐতিহাসিক মুহুর্ত। ইতোপূর্বে আমি এসএম হলে কখনো এমন দেখিনি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠার সঙ্গে অঙ্গাঅঙ্গীভাবে জড়িয়ে আছে এই মানুষটির নাম। অথচ বিগত বছরগুলোতে আমরা কখনো তাকে স্মরণ করে কোনো উদ্যোগ নেইনি। আশা করি সামনে থেকে এ চর্চা জারি থাকবে৷
এ বিষয়ে হল প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. আব্দুল্লাহ-আল-মামুন বলেন, প্রাধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর শিক্ষার্থীরা আমাকে এই বিষয়ে জানায়। কোনোভাবে ঢাবি ও সলিমুল্লাহ হল প্রতিষ্ঠাতা নবাব সলিমুল্লাহকে স্মরণ করা যায় কিনা। তাদের আবেদনের প্রেক্ষিতে আমি এ উদ্যোগ নেই। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা হলেও ইতোপূর্বে আমিও কখনো দেখিনি বিশ্ববিদ্যালয় কিংবা হল থেকে নবাব সলিমুল্লাহ স্মরণ করতে। আমাদের সবচেয়ে বয়োজ্যেষ্ঠ শিক্ষার্থীরাও কখনো এভাবে নবাব সলিমুল্লাহকে স্মরণ করতে আসেননি। দীর্ঘদিন পর এটিই প্রথম। আশা করি, সামনে থেকে এই চর্চা জারি থাকবে।