ক্যাম্পাস

শেষ হলো নোবিপ্রবির ইমার্জেন্সি মেডিক্যাল সার্ভিস

নোয়াখালী, ফেনী ও লক্ষ্মীপুরের বন্যার্তদের জন্য নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (নোবিপ্রবি) ফার্মেসি বিভাগ পরিচালিত ‘ইমার্জেন্সি মেডিক্যাল সার্ভিস’ টিমের কার্যক্রমের সমাপনী অনুষ্ঠিতে হয়েছে। এ সময় ভলেন্টিয়ারদের মাঝে সনদ বিতরণ করা হয়।

মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের অডিটোরিয়াম ভবনের আইকিউএসই’র সম্মেলন কক্ষে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

ফার্মেসি বিভাগের চেয়ারম্যান ও ইমার্জেন্সি মেডিক্যাল সার্ভিস টিমের প্রধান অধ্যাপক ড.মুহাম্মদ শফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড.মুহাম্মদ ইসমাইল।

এ কার্যক্রমের বিস্তারিত তুলে ধরে ইমার্জেন্সি মেডিক্যাল সার্ভিসের টিম লিডার মুহাম্মদ সোহাগ মিয়া বলেন, নোয়াখালী, ফেনি, লক্ষ্মীপুরের বন্যার্ত মানুষের পাশে যথাযথ চিকিৎসা সেবা প্রদানে নোবিপ্রবির ফার্মেসী বিভাগের উদ্যোগে গত ২৩ আগস্ট ‘ইমার্জেন্সি মেডিক্যাল সার্ভিস’ গঠন করা হয়। আমাদের প্রায় ৩২টি টিমে ৫০জন শিক্ষক-শিক্ষার্থী বন্যা কবলিত এলাকার প্রত্যন্ত অঞ্চলে মেডিসিন, ওয়াটার পিউরিফিকেশন ট্যাবলেট, স্যানিটারি ন্যাপকিন, স্যালাইনসহ প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সামগ্রী পৌঁছে দেয়।

তিনি বলেন, প্রথমত আমাদের ফার্মেসী বিভাগ নিজস্ব কিছু অর্থায়নে এ সেবা সমূহ চালু করলেও পরবর্তীতে দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে আমরা সাহায্য পেতে শুরু করি। বিভিন্ন কোম্পানি, এজেন্সি এবং ব্যক্তিগতভাবে কিছু শিক্ষকমণ্ডলীদের সাহায্য আমাদের নিকট পৌঁছায়। আমরা ৩২টি টিম ১৫দিন ধরে বিভিন্ন প্রত্যন্ত অঞ্চলে প্রায় ৯ হাজার বন্যা দুর্গত ব্যক্তিকে সেবা দিয়েছি।

অনুষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের এ ধরনের উদ্যোগের সঙ্গে যুক্ত থাকায় কৃতজ্ঞতা জানান বিভাগের শিক্ষকরা। আগামীতেও সামাজিক দায়বদ্ধতার জায়গা থেকে এ ধরনের কার্যক্রমে যুক্ত থাকার আশাবাদ ব্যক্ত করেন বিভাগের শিক্ষকরা।

এ সময় নোবিপ্রবি উপাচার্য অধ্যাপক ড.মুহাম্মদ ইসমাইল ইমার্জেন্সি মেডিক্যাল সার্ভিস টিমের উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়ে বলেন, একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে শুধু পড়াশোনা নয়, পাশাপাশি সামাজিক দায়বদ্ধতাও থাকে। দুর্যোগ মুহূর্তে বিশ্ববিদ্যালয় সম্মিলিতভাবে বন্যার্তদের পাশে দাঁড়াতে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালিয়েছে। ফার্মেসি বিভাগের শিক্ষার্থীরা সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকে বন্যা দুর্গতদের সহযোগিতা করেছেন।

তিনি বলেন, সাধারণ মানুষ শুধু ত্রাণসামগ্রী প্রদানের মাধ্যমে বন্যার্তদের সাহায্য করেছেন। কিন্তু ফার্মেসি বিভাগের শিক্ষার্থীরা বন্যার্তদের চিকিৎসাসেবার মাধ্যমে যে টেকনিক্যাল সার্ভিস দিয়েছেন তার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে ধন্যবাদ জানাই। তরুণ শিক্ষার্থীরা এ ধরনের উদ্যোগে যুক্ত থাকার মাধ্যমে অর্জিত শিক্ষা আগামী দিনে আরও ভালোভাবে কাজে লাগানোর মাধ্যমে সামাজিক কাজে এগিয়ে আসবে বলে মনে করি।