ক্যাম্পাস

বিশ্বসেরা গবেষকদের তালিকায় রাবি উপাচার্যসহ ১২ শিক্ষক

বিশ্বসেরা ২ শতাংশ বিজ্ঞান গবেষকের তালিকায় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) উপাচার্য পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক সালেহ্ হাসান নকীবসহ ১৫ জন গবেষক স্থান পেয়েছেন। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় এবং নেদারল্যান্ডসভিত্তিক বিশ্বের প্রথম সারির চিকিৎসা ও বিজ্ঞানবিষয়ক নিবন্ধ প্রকাশনা সংস্থা ‘এলসেভিয়ার’র সমন্বিত জরিপে গত ১৬ সেপ্টেম্বর এ তালিকা প্রকাশ করা হয়।

জানা গেছে, তালিকায় স্থান পাওয়া ১৫ জন গবেষকের মধ্যে ১২ জন রাবির বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক। তারা হলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক সালেহ্ হাসান নকীব, পপুলেশন সায়েন্স অ্যান্ড হিউম্যান রিসোর্স ডেভেলপমেন্ট বিভাগের অধ্যাপক মো. মুশফিকুর রহমান ও অধ্যাপক মশিউর রহমান, ফলিত গণিত বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. আলি আকবার, ফার্মেসি বিভাগের অধ্যাপক মো. আব্দুল আলিম আল-বারি ও সহযোগী অধ্যাপক মহিতোষ বিশ্বাস, ফলিত রসায়ন ও রসায়ন প্রকৌশল বিভাগের অধ্যাপক মো. ইব্রাহিম এইচ মণ্ডল, ইলেক্ট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং (ইইই) বিভাগের অধ্যাপক জাকের হোসাইন, রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক হাসান আহমাদ, ফিসারিজ বিভাগের অধ্যাপক মো. ইয়ামিন হোসাইন, পদার্থবিজ্ঞানের সাবেক অধ্যাপক একেএম আজহারুল ইসলাম এবং ম্যাটেরিয়াল সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক মির্জা হুমায়ুন কবির রুবেল।

এছাড়া রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাফিলিয়েশনে আরো তিনজন গবেষকের নাম তালিকাভুক্ত হয়েছে। তারা হলেন- বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের মোহাম্মাদ আব্দুল হাদি। তবে তিনি রাবির পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক নন, তিনি এ বিভাগ থেকে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেছেন। বর্তমানে তিনি একটি সরকারি কলেজে অধ্যাপনা করছেন।

স্কোপাস ডাটাবেজের পদ্ধতিগত কারণে বাকি দুইজনের পরিচয় সনাক্ত করা সম্ভব হয়নি। কারণ স্কোপাস ডাটাবেজের পদ্ধতি হলো একাধিক গবেষকের নামের বানান হুবহু একই হলে ওই সব গবেষকের নামে একটাই অ্যাকাউন্ট থাকবে যদি না তাঁরা ভিন্ন-ভিন্নভাবে নিজেদের অ্যাকাউন্ট তৈরির দাবি না করেন। ফলে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের গবেষকদের নাম হুবহু একই হলে বড় একটা সমস্যা তৈরি হয়।

এই জটিলতার কারণে বাকি দুজন গবেষকের ক্ষেত্রে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাফিলিয়েশন আসলেও তারা রাবির কোনো শিক্ষক নন। তারা রাবির অ্যাফিলিয়েশন ব্যবহার করেছেন মাত্র। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাফিলিয়েশনে নাম আসা এই দুই গবেষক হলেন মাহফুজুর রহমান ও খন্দকার মনোয়ার।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক সালেহ্ হাসান নকীব বলেন, এটা নিশ্চয়ই বেশ খুশির খবর যে গোটা বিশ্বের ২ শতাংশ গবেষকের তালিকায় রাবি থেকে ১৫ জন স্থান পেয়েছেন। আমাদের দেশীয় একটা কালচার হলো- গবেষকদের প্রকৃত অর্থে কোনোভাবে উৎসাহিত করা হয় না। আসলে গবেষকরাই একটা বিশ্ববিদ্যালয়কে সারা দুনিয়ার সামনে পরিচিত করে। তবে খুব খুশি হওয়ার কারণ নেই, কেননা আমাদের শিক্ষক-শিক্ষার্থীর কলেবরটা বেশ বড় চাইলে এ সংখ্যাটা আরও বাড়তে পারত। তবে, আন্তর্জাতিক মানে পৌঁছাতে গেলে শুধু সংখ্যা না, মানেও অনেক বেশি এগিয়ে যেতে হবে। এখন মানসম্মত গবেষণাই সব থেকে বেশি প্রয়োজন।