ক্যাম্পাস

নির্মাণাধীন ভবনসহ বেদখল হল উদ্ধারে জবিতে গণস্বাক্ষর

ধূপখোলা মাঠ স্থায়ীকরণ ও মাঠের পাশের নির্মাণাধীন ভবনকে হল হিসেবে অন্তর্ভুক্তির দাবিতে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা গণস্বাক্ষর কর্মসূচি শুরু করেছে। তারা হবিবুর রহমান হল, আব্দুর রহমান হলসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের বেদখল হয়ে যাওয়া হলগুলো প্রশাসনকে নিয়ে উদ্ধার করতে চান।

বুধবার (২ অক্টোবর) জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শান্ত চত্ত্বরে এ গণস্বাক্ষর কর্মসূচি শুরু হয়। এছাড়াও প্রতিটি বিভাগে গিয়ে এ গণস্বাক্ষর নেওয়া হয়।

বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, আবাসন সমস্যার সমাধানে তৎকালীন জগন্নাথ কলেজের বেদখল হয়ে যাওয়া হলগুলোর মধ্যে যেগুলো থাকার উপযোগী, সেগুলো তারা উদ্ধার করতে চান। ধূপখোলা মাঠ স্থায়ীকরণের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও ঢাকার জেলা প্রশাসনকে সঙ্গে নিয়ে তারা তাদের সামনের কর্মপরিকল্পনা এগিয়ে নিতে চান।

এ বিষয়ে সাখাওয়াত হোসেন নামের এক শিক্ষার্থী বলেন, এ গণস্বাক্ষর আমাদের কর্মপরিকল্পনার একটি সেগমেন্ট মাত্র। ধূপখোলা আমাদের কেন্দ্রীয় খেলার মাঠ ছিল। যা আমরা ব্যবহার করে আসছিলাম। কিন্তু বিগত সরকারের আমলে সেটা বেদখল হয়ে যায়। বাংলাদেশের দ্বিতীয় স্বাধীনতায় আমরা আবার আমাদের মাঠটি ফিরে পেয়েছি। কিন্তু এবার আমরা মাঠটি স্থায়ীভাবে পেতে চাই। এজন্য আমরা গণস্বাক্ষর কর্মসূচি শুরু  করেছি। এছাড়াও মাঠের পাশে যে নির্মাণাধীন ভবন আছে, সেটাকে হল করার দাবি জানাচ্ছি। 

সিয়াম নামের আরেক শিক্ষার্থী বলেন, আমাদের ক্যাম্পাসের সব থেকে বড় সমস্যা হচ্ছে, আমাদের কোনো আবাসন ব্যবস্থা নেই। হবিবুর রহমান, আব্দুর রহমানসহ আমাদের বেদখল হয়ে যাওয়া হলগুলো বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও ঢাকা জেলা প্রশাসনকে নিয়ে উদ্ধার করতে চাই।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. তাজাম্মুল হক বলেন, শিক্ষার্থীরা যে দাবি নিয়ে গণস্বাক্ষর কর্মসূচি শুরু করেছে, আমাদের প্রশাসনের পক্ষ থেকে পুরো সমর্থন আছে। আমাদের বড় সমস্যা, আবাসন সমস্যা। আমরা আমাদের শিক্ষার্থীদের নিয়ে আইনিভাবে সে সমস্যার সমাধান করতে চাই।

তিনি আরও বলেন, শিক্ষার্থীরা হবিবুর রহমান হল, আব্দুর রহিম হল, ধূপখোলা মাঠের পাশের ভবনসহ অন্য বেদখল হয়ে যাওয়া হলগুলো উদ্ধার করতে চায়। আমরাও চাই, আমরা আমাদের বেদখল হলগুলো ফিরে পাই। আমরা শিক্ষার্থীদের ও ঢাকা জেলা প্রশাসনের মাধ্যমে একটি নিয়মের মধ্য দিয়ে এসব করতে চাই।