ক্যাম্পাস

রাবি অধ্যাপক আল মামুনকে অব্যাহতি

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক সৈয়দ মো. আবদুল্লাহ আল মামুনকে সব ধরনের অ্যাকাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রম থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৩ অক্টোবর) রাবি ভারপ্রাপ্ত রেজিস্টার শেখ সাদ আহমেদ সাক্ষরিত এক বিবৃতি থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

এর আগে, বুধবার (২ অক্টোবর) তার বিরুদ্ধে বোরখাকে পতিতাবৃত্তির সাথে তুলনা, খোলামেলা পোশাকের দোহাই দিয়ে অশোভন মন্তব্য, বিভাগের উন্নয়ন তহবিলের অর্থ আত্মসাৎ, গণ বিপ্লবের বিরুদ্ধে কাজ করার জন্য নগদ অর্থের প্রলোভন, অনিয়ম, দুর্নীতি, স্বেচ্ছাচারিতা, ফল বিপর্যয় ও পাঠদানে ফাঁকি দেওয়াসহ নানা অভিযোগ তুলে অপসারণের দাবিতে বিভাগে শাটডাউন ঘোষণা করেন শিক্ষার্থীরা। এছাড়া, বিগত ছয় বছর বিভাগের সভাপতি থাকা অবস্থায় বিভিন্ন ধরনের দুর্নীতি এবং বর্তমান সভাপতিকে জোরপূর্বক পদত্যাগ করতে বাধ্য করার অভিযোগও তোলেন শিক্ষার্থীরা। পরবর্তীতে তাদের দাবিগুলো উপাচার্য বরাবর পাঠানো হয়৷

বিবৃতিতে জানা গেছে, বিভাগের শিক্ষার্থীদের এসব অভিযোগের প্রেক্ষিতে গঠিত তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন দাখিল এবং এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত না হওয়া পর্যন্ত তাকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্টার শেখ সাদ আহমেদ বলেন, তাকে সব ধরনের অ্যাকাডেমিক এবং প্রশাসনিক কাছ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। এছাড়া তার বিরুদ্ধে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত কমিটি যে সুপারিশ করবে সে অনুযায়ী আমরা ব্যবস্থা নিব।

অব্যাহতির বিষয়ে অভিযুক্ত অধ্যাপক সৈয়দ মো. আবদুল্লাহ আল মামুনকে কল দেওয়া হলে তিনি বলেন, আমি মিটিংয়ে আছি। এ ব্যাপারে পরে কথা বলবো।

তবে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের সভাপতি সহযোগী অধ্যাপক শরিফুল ইসলাম বলেন, আমরা আজ দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন থেকে অধ্যাপক মামুনের অব্যাহতি সম্পর্কিত একটা চিঠি পেয়েছি। প্রশাসন থেকে তার বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত না আসা পর্যন্ত তিনি অ্যাকাডেমিক কোনো কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করতে পারবেন না। 

শিক্ষার্থীদের ক্লাস বর্জনের বিষয়ে তিনি বলেন, আজ তাদের সঙ্গে আমি এ বিষয়ে কথা বলেছি। আজ ক্লাসে ফেরা সম্ভব হয়নি। আশা করি, আগামী সপ্তাহ থেকে আমরা পাঠদানে ফিরে যেতে পারবো।