আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে উপাচার্যদের পদত্যাগের হিড়িক পড়ে যায়। অভিভাবক শূন্য হয়ে পড়ে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো। অন্তবর্তীকালীন সরকারের ক্ষমতা গ্রহণের পর নানা সমীকরণ মিলিয়ে উদ্যোগ নেওয়া হয় উপাচার্য নিয়োগের।
উপাচার্য পদে যোগদানের পরপরই কর্মব্যস্ত হয়ে পড়ে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো। প্রশাসনিক শূন্য পদ পূরণ, পদের রদবদলসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের পাঠদান কার্যক্রম শুরু করে প্রায় সবগুলো বিশ্ববিদ্যালয়ে স্বাভাবিক গতি ফিরেছে।
রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়েও (রবি) উপাচার্য নিয়োগের পরপরই গ্রহণ করা হয়েছে নানা কার্যক্রম। নিয়মিত চলছে শিক্ষার্থীদের পাঠদান কার্যক্রম। ক্যাম্পাসে ফিরেছে আগের মতো উৎফুল্লতা। তবে এখন পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণকারী প্রক্টোরিয়াল বডিতে গুরুত্বপূর্ণ প্রক্টর পদে দায়িত্ব দেওয়া হয়নি কাউকে।
জানা গেছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠদান কার্যক্রম তিনটি ভিন্ন ভিন্ন অস্থায়ী ভবনে পরিচালিত হয়। ভিন্ন জায়গায় ক্যাম্পাস হওয়াতে শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তাজনিত বিষয়ে রয়েছে যথেষ্ট সংকট। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় স্থানীয় নেতাকর্মীদের দ্বারা ক্যাম্পাসে ঢুকে হামলার চেষ্টা করা হয়েছিল।
এর আগে, বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. ফখরুল ইসলাম প্রক্টরের দায়িত্ব ছাড়ার পর থেকে পদটি শূন্য রয়েছে। তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টোরিয়াল বডিতে চারজন সহকারী প্রক্টর রয়েছে।
প্রক্টর ছাড়া কিভাবে চলছে বিশ্ববিদ্যালয়- এ প্রশ্নের জবাবে সহকারী প্রক্টর নজরুল ইসলাম বলেন, সরকারের নির্দেশনা পাওয়ার পরপরই সিন্ডিকেটে অনুমোদিত হয়ে বিশ্ববিদ্যালয় খুলে যায় এবং ক্লাস পরীক্ষা চালু হয়। শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সর্বাত্মক সহযোগিতায় বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ ভালো রয়েছে।
তিনি বলেন, উপাচার্য স্যারের সার্বিক নির্দেশনায় প্রক্টরিয়াল বডির কাজ সহজ হয়েছে। উপাচার্য স্যারের নির্দেশনায় বর্তমান প্রক্টরিয়াল বডি সঠিকভাবে কাজ করছে এবং প্রক্টরের শূন্যতা তেমন অনুভব করছে না।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের সদ্য নিয়োগপ্রাপ্ত উপাচার্য অধ্যাপক ড. এস এম হাসান তালুকদার এর সঙ্গে মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।
উল্লেখ্য, রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার আট বছরে প্রায় ১ হাজার শিক্ষার্থীর ক্যাম্পাসে রয়েছে নানা সংকট। তবে ছাত্র আন্দোলনের পর শিক্ষার্থীরা নানা সংস্কারের দাবি ইতোমধ্যে উপস্থাপন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে। অপরদিকে, প্রশাসনের পক্ষ থেকেও গ্রহণ করা হয়েছে নানা কর্মসূচি।