ক্যাম্পাস

বন্যার্তদের ২১৩ কেজি সবজি বীজ দেবে হাবিপ্রবি

দিনাজপুরের হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (হাবিপ্রবি) পক্ষ থেকে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের মাঝে ২১৩ কেজি সবজির বীজ বিতরণ করা হবে। শনিবার (৫ অক্টোবর) বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে বিষয়টি জানা গেছে।

জানা গেছে, বন্যার্তদের মাঝে বীজ বিতরণ উপলক্ষে শনিবার (৫ অক্টোবর) সকাল ৮টা থেকে হাবিপ্রবির ড. কুদরাত এ খুদা অ্যাকাডেমিক ভবনের ৫৫৯ নম্বর কক্ষে কৃষি অনুষদের শিক্ষার্থীরা বীজ প্যাকেটজাত শুরু করেন।

এর মধ্যে লাউ, সীম, বাঁধাকপি, ধুন্দল, করলা, টমেটো, বেগুন, মূলা, শসা, মরিচ, সরিষা, ঝিঙে, বরবটি, ডাটা শাক, লাল শাক, পালং শাক, কলমি শাকসহ বিভিন্ন শীতকালীন শাক-সবজির বীজ রয়েছে। দিনব্যাপী বিরতিহীনভাবে শিক্ষার্থীরা প্রায় ২১৩ কেজি বীজ প্যাকেটজাত করেন। হাবিপ্রবি গ্রাজুয়েট এবং বন্যাদুর্গত অঞ্চলের কৃষি সম্প্রসারণ অফিসারদের মাধ্যমে এ বীজগুলো বিতরণ করা হবে বলে জানা গেছে।

এ সব বীজ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, প্রাক্তন শিক্ষার্থী, বিভিন্ন সংগঠনের সদস্যরা এবং কৃষি কোম্পানির  সহযোগিতায় সংগৃহ করা হয়েছে।

প্যাকেটজাত কার্যক্রমে অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীরা বলেন, দেশের এ দুর্যোগপূর্ণ পরিস্থিতিতে আমাদের কিছু নৈতিক দায়বদ্ধতা থেকেই যায়। আমরা যেহেতু কৃষি নিয়ে পড়াশোনা করছি, তাই সবসময় চাই- বাংলার কৃষি যেন একটা সমৃদ্ধতর পর্যায়ে যেতে পারে। এখন তো বন্যার কারণে আমাদের দেশের কৃষকদের বপনকৃত বীজ নষ্ট হয়ে গেছে। আবার অনেকেই টাকার অভাবে বীজ কিনতে পারবে না। ফলে তারা কৃষি উৎপাদনে অংশগ্রহণও করতে পারবে না। এতে করে দেশের কৃষি পণ্যের উৎপাদন কমে যাওয়া খাদ্য সংকট দেখা দিবে এবং ভোক্তাদের বেশি দাম দিয়ে শাক-সবজি কিনতে হবে।

তারা বলেন, আমরা মূলত কৃষকদের এবং ভোক্তাদের কষ্ট লাঘবের উদ্দেশ্যেই এমন মহৎ কাজে নিজেদের শামিল করেছি। আর এমন সহযোগিতামূলক কাজে অংশগ্রহণ করতে পেরে নিজেকে গর্বিত মনে করছি।

প্লান্ট প্যাথলজি বিভাগের শিক্ষক মো. মবিনুল ইসলাম বলেন, বর্তমান ও প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের সহযোগিতায় আফটার ফ্লাট ট্রান্সপ্লাটিং প্রজেক্টের আওতায় বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের পুনর্বাসনের লক্ষ্যে তাদের মাঝে বিতরণের জন্য আমরা আজ বিভিন্ন শাক-সবজির প্রায় ২১৩ কেজি বীজ প্যাকেটজাত করছি এবং খুব দ্রুত সময়ের মাঝে তা কৃষকদের হাতে হস্তান্তর করবো। যাতে কৃষকেরা বন্যা পরবর্তী সময়ে কৃষি বীজ সঙ্কট মোকাবেলা করতে পারেন। অধিকন্তু আমরা খুব দ্রুত সময়ের মাঝেই আমাদের উৎপাদিত বিভিন্ন শাক-সবজির প্রায় ১০ লাখ চারা কৃষকদের মাঝে হস্তান্তর করবো।