ক্যাম্পাস

বাইরের উপাচার্য চেয়ে বুটেক্স শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন

বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুটেক্স) উপাচার্য হিসেবে টেক্সটাইল শিক্ষার সঙ্গে সম্পৃক্ত বাইরের বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো অধ্যাপকের দ্রুততম সময়ে নিয়োগের দাবিতে মিছিল এবং মানববন্ধন করেছেন শিক্ষার্থীরা।

রোববার (৬ অক্টোবর) দুপুর ১২টায় শিক্ষার্থীরা মিছিল বের করে বুটেক্সের প্রধান ফটকের সামনে গিয়ে সড়ক অবরোধ করে তারা অবস্থান কর্মসূচি পালন করে।

শিক্ষার্থীদের মতে, বিভিন্ন কারণে কিছু সিনিয়র শিক্ষক ইতোমধ্যে শিক্ষার্থীদের কাছে তাদের গ্রহণযোগ্যতা হারিয়েছেন। সাধারণ শিক্ষার্থীদের বিশ্বাস, বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বিক উন্নতি তাদের দিয়ে সম্ভব না। তাই এ মুহূর্তে বুটেক্সের ইন্টারনাল কাউকে উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হলে বিশ্ববিদ্যালয়ের চলমান অস্থিতিশীলতা আরও বাড়তে পারে।

অবস্থান কর্মসূচিতে ৪৬তম ব্যাচের টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং ম্যানেজমেন্ট বিভাগের শিক্ষার্থী রাকিব সরদার বলেন, বুটেক্সের বর্তমান প্রেক্ষাপট বিবেচনায় আমরা সব অশান্তির অবসান চাই, বিশ্ববিদ্যালয়ের অগ্রগতি চাই এবং এ লক্ষ্যে আমরা এক্সটার্নাল উপাচার্য চাই। আমরা বিগত সময়গুলোতে দেখেছি বুটেক্সের শিক্ষকদের মাঝে পক্ষপাতিত্ব রয়েছে। সে ক্ষেত্রে যদি পুনরায় বুটেক্সের ইন্টারনাল কোনো শিক্ষক উপাচার্য হন, তাহলে আবার বুটেক্সের পরিবেশ অস্থিতিশীল হতে পারে। যদি এক্সটার্নাল কেউ উপাচার্য হন এবং তিনি সব ধরনের পক্ষপাতিত্বকে বাদ দিয়ে অ্যাকাডেমিক ও প্রশাসনিক দক্ষতার পরিচয় দিতে পারেন, সে ক্ষেত্রে বুটেক্সকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া সম্ভব।

তিনি বলেন, যেহেতু বুটেক্স একটি টেক্সটাইল বিশেষায়িত বিশ্ববিদ্যালয়। তাই এক্সটার্নাল উপাচার্য টেক্সটাইল ব্যাকগ্রাউন্ডের হলে সেটা আমাদের জন্য অধিক ভালো। তবে টেক্সটাইল ব্যাকগ্রাউন্ডের কাউকে যদি না পাওয়া যায়, সে ক্ষেত্রে অ্যাকাডেমিক এবং প্রশাসনিক কাজে দক্ষ ইঞ্জিনিয়ারিং ব্যাকগ্রাউন্ডের কাউকে উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হলে তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তাদের স্বার্থে প্রশাসনিক কাজকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারবেন বলে আমরা বিশ্বাস করি।

উল্লেখ্য, গত ৩ অক্টোবর  বুটেক্সের উপাচার্য অধ্যাপক ড. শাহ আলিমুজ্জামানের পদত্যাগের পর বিশ্ববিদ্যালয়ের পরবর্তী উপাচার্য কে হবেন, তা নিয়ে চলছে আলোচনা-সমালোচনা। শিক্ষার্থীরা বুটেক্সের বাইরের বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপককে উপাচার্য হিসেবে প্রত্যাশা করলেও শিক্ষকরা চান ভিন্ন কিছু। বুটেক্সে বর্তমানে গ্রেড-১ এবং গ্রেড-২ এর অধ্যাপক আছেন ১০ জন। শিক্ষকরা চান তাদের মধ্যে যোগ্যতম একজনকে উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হোক।