নওগাঁ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য পদে নিয়োগ পেয়েছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ইনস্টিটিউট অব বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের অধ্যাপক ড. মোহা. হাছানাত আলী।
রোববার (৬ অক্টোবর) বিকেলে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের উপসচিব মো. শাহীনুর ইসলাম স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো। রাষ্ট্রপতি ও বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য চার বছরের জন্য তাকে এ নিয়োগ দেন।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, মহামান্য রাষ্ট্রপতি ও চ্যান্সেলরের অনুমোদনক্রমে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিশ্ববিদ্যালয়, নওগাঁ আইন, ২০২৩ এর ১০(১) ধারা অনুযায়ী রাবির ইনস্টিটিউট অব বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের অধ্যাপক ড. মোহা. হাছানাত আলীকে নওগাঁর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য পদে নিয়োগ প্রদান করা হলো।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, তিনি বিধি অনুযায়ী পদ সংশ্লিষ্ট অন্যান্য সুবিধাদী ভোগ করবেন এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে সার্বক্ষণিক বিশ্ববিদ্যালয়ে অবস্থান করবেন। এ পদে থাকা অবস্থায় তিনি বর্তমান পদের সমপরিমাণ বেতন-ভাতাদি প্রাপ্য হবেন। তবে মহামান্য রাষ্ট্রপতি ও আচার্য প্রয়োজনে যে কোনো সময় এ নিয়োগ বাতিল করতে পারবেন।
ড. হাছানাত আলী ১৯৮৫ সালে নিজ জেলা বগুড়া থেকে দাখিল ও ১৯৮৭ সালে এইচএসসি সম্পন্ন করেন। এরপর ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয়ের ম্যানেজমেন্ট বিভাগ থেকে ১৯৯১ সালে স্নাতক ও ১৯৯২ সালে ফাস্ট ক্লাস ফাস্ট হয়ে স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেন। এছাড়াও ২০০৭ সালে ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন তিনি।
কর্মজীবনে ১৯৯৬ সালে ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয়ের হিসাববিজ্ঞান ও তথ্য ব্যবস্থাপণা বিভাগে প্রভাষক হিসেবে যোগদান করেন ড. হাছানাত আলী। এরপর ১৯৯৯ সালে সহকারী অধ্যাপক। পরে ২০০৪ সালে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট অব বিজনেস স্টাডিজে সহকারী অধ্যাপক হিসেবে যোগদান করেন। পরে ২০০৭ সালে সহযোগী অধ্যাপক এবং ২০১৩ সালে অধ্যাপক হিসেবে পদোন্নতি পান তিনি।
দেশে বিদেশে ২৯টি গবেষণা প্রবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে তাঁর। এছাড়াও তিনি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় প্রেসক্লাবের উপদেষ্টা হিসাবে দীর্ঘদিন যাবত দায়িত্ব পালন করে আসছেন।
উল্লেখ্য, রাবির বিধান অনুযায়ী ১২ বছর আগেই পরিচালক পদ প্রাপ্য হওয়া কথা। তবে বিগত সরকার নিয়ন্ত্রিত প্রশাসন তাকে যোগ্য হওয়া সত্ত্বেও বঞ্চিত করেছে। কোটা সংস্কার আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে অধ্যাপক ড. হাছানাত আলীকে সক্রিয় ভূমিকা পালন করতে দেখা গেছে।