ক্যাম্পাস

তুলির শেষ টানের অপেক্ষায় প্রতিমা শিল্পীরা

ষষ্ঠীপূজার মাধ্যমে আজ থেকে শুরু হচ্ছে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা। দেবীদুর্গা আসবে পালকিতে চড়ে আর কৈইলাসে ফিরে যাবে। দেবী দুর্গাকে বরণে চলছে মণ্ডপে মণ্ডপে চলছে শেষ সময়ের প্রস্তুতি। তুলির টানে জেগে উঠছে প্রতিমার ত্রি-নয়ন। তুলির শেষ টানের অপেক্ষায় শিল্পীরা।

বুধবার (৯ অক্টোবর) মহাষষ্ঠীতে দেবীকে বোধনের মধ্য দিয়ে শুরু হওয়া এবারের দুর্গোৎসব আগামী রোববার (১৩ অক্টোবর) দশমীতে বিসর্জন ও শোভাযাত্রার মধ্য দিয়ে শেষ হবে।

সরজমিনে পুরান ঢাকার বিভিন্ন মণ্ডপ ঘুরে দেখা যায়, শেষ সময়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন প্রতিমা শিল্পীরা। জোরেসরে চলছে প্রতিমা তৈরির কাজ। শিল্পীর নিপুণ হাতের ছোঁয়ায় তৈরি হচ্ছে দেবীদুর্গা, লক্ষ্মী, সরস্বতী, কার্তিক, অসুরসহ বিভিন্ন দেব-দেবীর প্রতিমা। শৈল্পিক দক্ষতায় জীবন্ত হয়ে ওঠছে প্রতিমাগুলো।

শাঁখারিবাজারের প্রতিমা শিল্পী সুজন পাল। তিনি পাঁচ বছর ধরে দেবী দুর্গার প্রতিমা তৈরির কাজ করছেন। বছরের পুরোটা সময় বিভিন্ন দেব-দেবীর মূর্তি তৈরি করলেও শারদীয় উৎসবের এ সময়টাতে রাতদিন এক করে তিনি কাজ করেন। আর যত সময় ঘনিয়ে আসে ব্যস্ততা বাড়ে সুজন পালের।

এ বিষয়ে তিনি বলেন, সারা বছর প্রতিমার কাজ করে থাকি। তবে দুর্গা উৎসব এলেই কাজের চাপ বেড়ে যায়। কিন্তু মায়ের প্রতিমা বানাতে পেরে সে কষ্ট আর কষ্ট মনে হয় না।

তিনি আরও বলেন, প্রতিমা তৈরির ক্ষেত্রে প্রথমে একজন কারিগরকে বাশঁ বা কাঠ দিয়ে কাঠামো তৈরি করতে হয়। এরপর কাঠামোয় এটেঁল মাটি ব্যবহার করে নির্দিষ্ট আকারে নিয়ে আসা হয়। মাটি শুকানোর পর প্রতিমায় রঙ, সাজসজ্জা করতে হয়। শেষে গিয়ে ত্রি-নয়নের কাজের মাধ্যমে প্রতিমা জীবন্ত আকার ধারণ করে।

নিশি পাল নামে আরেক কারিগর বলেন, বংশ পরম্পরায় প্রতিমা তৈরি করে আসছি। বছরে দুর্গাপূজার প্রতিমার এই কাজ করে যে আয় হয়, তা দিয়েই আমাদের সংসার চালাতে হয়। তবে যেভাবে প্রতিমা তৈরির উপকরণের দাম বাড়ছে, সে তুলনায় আয় নেই।