আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক মাহমুদুর রহমান বলেছেন, বর্তমান সরকারকে টিকিয়ে রাখতে আমাদের চেষ্টা অব্যাহত রাখতে হবে। কারণ এ সরকার না টিকলে ভারতীয় সাম্রাজ্যবাদ মাথাচাড়া দিয়ে উঠবে। কিন্তু সরকারের দিকেও আমাদের নজর রাখতে হবে। যাতে তারা বিপদগামী না হয়। সবাইকে এই দায়িত্ব নিতে হবে। ১৮ কোটি জনগণ যদি এক থাকে, তাহলেই ভারতীয় আধিপত্যবাদের উৎখাত সম্ভব হবে।
বৃহস্পতিবার (১০ অক্টোবর) বেলা ১২টায় ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিসিতে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় তিনি এ সব কথা বলেন।
তিনি বলেন, দেশকে আওয়ামী লীগ থেকে মুক্ত রাখতে হলে আগে ছাত্রলীগ থেকে মুক্ত করতে হবে। বাংলাদেশে যদি কোন জঙ্গি সংগঠন থাকে, সেটি ছাত্রলীগ। আমি কয়েকদিন আগে জাতীয় প্রেস ক্লাবে একটি বক্তব্যে ছাত্রলীগকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে নিষিদ্ধ করতে সাতদিন সময় দিয়েছিলাম। আপনাদের স্মরণ করে দিতে চাই, আগামী রোববার সেই সাতদিন শেষ হবে। যদি আগামী রোববারের মধ্যে ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ না করা হয়, তাহলে সোমবার থেকে আমার দাবির সমর্থনে আপনারা ইবি থেকে আন্দোলন শুরু করবেন। নিষিদ্ধ না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাবেন। আমি ঢাকায় মাঠে থাকবো। আপনারা এখানে মাঠে থাকবেন।
তিনি আরও বলেন, ঐতিহাসিক ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মাধ্যমে আমাদের কাঁধে চেপে বসা জালেমশাহীর পতন ঘটেছে। ১৬ বছর ধরে বাংলাদেশে যে ফ্যাসিস্ট ও ইসলামবিরোধী সরকার ছিল, সেটি সরাসরি দিল্লি থেকে পরিচালিত হয়েছে। ১৯৮১ সালে ইসলাম এবং বাংলাদেশকে ধ্বংস করার জন্য সে দিল্লী থেকে এসেছিলেন। পতনের পর এখন আবার প্রভুর কাছেই তিনি আশ্রয় নিয়েছেন। দিল্লী ছাড়া তার আর যাওয়ার যায়গা নেই। তিনি যে দিল্লীর ঘৃণ্য এজেন্ট ছিলেন, এটাই তার দৃষ্টান্ত প্রমাণ।
মাহমুদুর রহমান বলেন, ছাত্র-জনতার রক্তের মধ্য দিয়ে একটা বিপ্লব হয়েছে। এ বিপ্লবকে বিপদগামী করা যাবে না। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মাঝে যেন কোনো বিভেদ না আসে। এখন আমাদের সুযোগ এসেছে, ভারতীয় আধিপত্যবাদকে চিরতরে উৎখাত করার। ভারতীয় আধিপত্যের বিরুদ্ধে লড়তে গিয়ে আবরার শহীদ হয়েছে। আমাদের এ লড়াইকে অব্যাহত রাখতে হবে।
মতবিনিময় সভায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ইবি শাখার সমন্বয়ক এস এম সুইটের সভাপতিত্বে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও আমার দেশ পত্রিকার নির্বাহী সম্পাদক সৈয়দ আবদাল আহমেদ, ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি ও আমার দেশ পত্রিকার নগর সম্পাদক এম. আব্দুল্লাহ, এবি পার্টির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. মেজর আব্দুল ওয়াহাব মিনার, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহীনুজ্জামান, ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. ওবায়দুল ইসলাম প্রমুখ।