ক্যাম্পাস

কাঁকড়া চাষে নোবিপ্রবির নতুন পদ্ধতি নিয়ে কক্সবাজারে মাঠ দিবস পালন

সম্পুরক খাদ্য ব্যবহারের মাধ্যমে হ্যাচারিতে কাঁকড়া চাষের নতুন পদ্ধতি উদ্ভাবন করেছে নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (নোবিপ্রবি) ফিশারিজ অ্যান্ড মেরিন সায়েন্স (ফিমস) বিভাগ। এ গবেষণা কার্যক্রমের অংশ হিসেবে কক্সবাজারে কাঁকড়া চাষীদের নিয়ে দিনব্যাপী মাঠ দিবসের আয়োজন করা হয়েছে।

শুক্রবার (১৮ অক্টোবর) কক্সবাজার জেলার চৌফলদণ্ডীতে প্রায় ৬০ জন কাঁকড়া চাষীর অংশগ্রহণে দিনব্যাপী এ মাঠ দিবসে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নোবিপ্রবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইসমাইল। অনুষ্ঠান শেষে স্থানীয় খামারে উৎপাদিত কাঁকড়ার আংশিক আহরণ অনুষ্ঠিত হয়।

এ সময় অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইসমাইল বলেন, গবেষণা ও সম্প্রসারণ কর্মীদের এ ধরনের যৌথ প্রচেষ্টায় কাঁকড়া চাষের মাধ্যমে উপকূলীয় জনগোষ্ঠীর ভাগ্য উন্নয়ন ঘটবে। এছাড়াও এর মাধ্যমে বাংলাদেশের মানুষ অধিক বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করতে পারবে এবং নিজেদের খাদ্য ও পুষ্টির চাহিদা মেটাতে পারবে।

প্রকল্পের প্রধান গবেষক ড. আব্দুল্লাহ আল মামুনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সাসটেইনেবল কোস্টাল মেরিন ফিসারিজ প্রকল্পের পরিচালক জিয়া হায়দার চৌধুরী, কক্সবাজার জেলার জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. বদরুজ্জামান ও প্রকল্পের উপ-পরিচালক ড. মোহাম্মদ শরিফুল আজম। স্বাগত বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও অ্যানিম্যাল সায়েন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আসাদুজ্জামান। 

উল্লেখ্য, কক্সবাজার ও সাতক্ষীরার প্রায় ১০০ জন চাষী গত ১ বছর ধরে কাঁকড়া চাষ করে সফলতার মুখ দেখেছেন। এ গবেষণায় হ্যাচারীর পোনা দিয়ে কাঁকড়ার লালন পালন এবং নতুন সম্পূরক খাবার তৈরি করে তা দিয়ে লালন পালন করা হয়।

মৎস্য অধিদপ্তরের আওতায় সাসটেইনেবল কোস্টাল মেরিন ফিসারিজ প্রজেক্ট এর অর্থায়নে নোবিপ্রবি’র মৎস্য ও সামুদ্রিক বিজ্ঞান বিভাগ বাংলাদেশের কক্সবাজার ও সাতক্ষীরার উপকূলে এই গবেষণা পরিচালনা করছে। এ পদ্ধতিতে কাঁকড়ার চাষ আরও লাভজনক বলে জানিয়েছেন গবেষকরা।