জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) শিক্ষার্থীবান্ধব ও উদার রাজনৈতিক পরিবেশ প্রতিষ্ঠা চায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। একইসঙ্গে গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী নতুন রাজনৈতিক বাস্তবতায় প্রকাশ্য পরিচয় ও সুস্থ চর্চার মতাদর্শিক লড়াইয়ের মাধ্যমে রাজনৈতিক মাঠেই সংগঠনগুলির মূল্যায়ন চেয়েছে তারা।
বুধবার (৩০ অক্টোবর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সদস্যরা এ কথা জানান। মঙ্গলবার (২৯ অক্টোবর) এক বিবৃতির মাধ্যমে প্রকাশ্যে আসার পর তারা এ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে নিজেদের অবস্থান পরিষ্কার করেন।
আলোচনার মাধ্যমে উদ্ভূত পরিস্থিতি সমাধান করার আহ্বান জানিয়েছে বিবৃতিতে তারা বলেন, ‘২৪ এর ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে প্রাপ্ত নতুন বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে দেশের সব ক্ষেত্রে সংস্কার অত্যাবশকীয়। পুরনো ঘুনে ধরা রাজনৈতিক কাঠামো থেকে বের হয়ে নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্তের জন্য এখন প্রয়োজন চলমান রাজনৈতিক চর্চার মৌলিক সংস্কার। তাই দেশে জাতীয় ঐক্য গঠন ও অন্তর্ভুক্তিমূলক রাষ্ট্র বিনির্মাণের উদ্দেশ্যে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ফ্যাসিবাদবিরোধী সব রাজনৈতিক-অরাজনৈতিক অংশীজনের মতামতকে গুরুত্ব প্রদান করছে।’
তারা আরও বলেন, ‘নতুন রাজনৈতিক বাস্তবতায় যে কোনো রাজনৈতিক ছাত্র সংগঠনের অতীতের অমীমাংসিত ঘটনা ও রাজনৈতিক তর্ক সমাধানের পূর্বেই তাদের আবির্ভাব ঘটলে স্বভাবতই নতুন বিতর্ক সৃষ্টি করতে পারে। ক্যাম্পাসে চলমান রাজনৈতিক ধোঁয়াশা ও অস্থিতিশীল পরিবেশ নিরসনে স্বচ্ছ ও সহনশীল রাজনৈতিক স্থিতাবস্থা প্রয়োজন।
ক্যাম্পাসে রাজনৈতিক ব্যবস্থায় গুপ্ত রাজনীতির কোনো সুযোগ নেই উল্লেখ করে তারা বলেন, দেশের বিভিন্নস্থানে আমরা ফ্যাসিস্ট সংগঠন ছাত্রলীগকে নিজেদের উদ্দেশ্য সফল করতে গুপ্ত রাজনীতির অন্ধকার মাধ্যমকে বেছে নিতে দেখছি। এজন্য ফ্যাসিবাদী, লেজুড়বৃত্তিক, সন্ত্রাসী ও বর্জনমূলক রাজনীতির বিরুদ্ধে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন দৃঢ় প্রতিজ্ঞা প্রকাশ করেছে।