ক্যাম্পাস

থমকে আছে চাঁবিপ্রবির কার্যক্রম

উপাচার্যসহ শীর্ষ প্রশাসনিক কর্তাব্যক্তিরা না থাকায় থমকে রয়েছে চাঁদপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (চাঁবিপ্রবি) শিক্ষা কার্যক্রম। এতে করে প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষাক-শিক্ষার্থীসহ সংশ্লিষ্টদের মধ্যে চরম অসন্তোষ দেখা দিয়েছে।

শুক্রবার (১ নভেম্বর) বিকেলে শহরের ওয়াপদা গেইটে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে এ শিক্ষা কার্যক্রমের বিষয়টি জানিয়েছে শিক্ষার্থীরা।

এ সময় শিক্ষার্থীরা বলেন, ‘এ প্রতিষ্ঠানের সাবেক উপাচার্য ড. মো. নাছিম আখতারকে পদ থেকে অব্যাহতি দিয়ে গত ৮ অক্টোবর শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। তাকে অপসারণের পর এখন পর্যন্ত উপাচার্য হিসেবে কাউকে নিয়োগ দেওয়া হয়নি। উপাচার্য এবং রেজিস্ট্রার না থাকায় চাঁদপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (চাঁবিপ্রবি) সব ধরনের অ্যাকাডেমিক এবং প্রশাসনিক কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে।’

তারা আরও বলেন, ‘গত চার মাস ধরে আমাদের কোনো ক্লাস হয়নি। এতে আমরা চরম হতাশায় রয়েছি। চাঁবিপ্রবির অফিসিয়াল কার্যক্রম বন্ধ থাকায় গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষার মাধ্যমে সুযোগ প্রাপ্ত ২০২৩-২৪ সেশনের শিক্ষার্থীরা এখানো ভর্তি হতে পারছে না। ফলে তাদের শিক্ষা জীবন এক প্রকার হুমকির মধ্যে রয়েছে।’

ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীরা বলেন, ‘আমাদের সমপর্যায়ের প্রায় সব পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য নিয়োগ সম্পন্ন হয়েছে। কিন্তু কোনো এক রহস্যজনক কারণে চাঁবিপ্রবিতে এখনো উপাচার্য নিয়োগ দেওয়া হয়নি। এতে করে বিশ্ববিদ্যালয়ের সব ধরনের অ্যাকাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রম স্থবির হয়ে আছে। আগামী তিন কর্মদিবসের মধ্যে অ্যাকাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার জন্য উপাচার্য নিয়োগ দেওয়া না হলে আমরা কঠোর কর্মসূচিতে যেতে বাধ্য হবো।’

সংবাদ সম্মেলনে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের নিহাল, ফারুক ই আজম, নাফিউল, মোহাম্মদুল, বাপন, সিফাত, হাসিবুর, নাজমূল, তাহমিদ, সিয়াম হোসেন, ওয়াজিদ, হাবিব প্রমুখ শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।