কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুবি) ‘টিক ইয়োর টক ৩.০’ এর চূড়ান্ত পর্ব অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে বিজয়ী হয়েছেন মাইনুল ইসলাম। এছাড়া কানিজ ফাতেমা রিমি প্রথম রানার আপ এবং যৌথভাবে ফাহিমা সুলতানা রাতুয়া ও আসিফ ফেরদৌস জিদনী দ্বিতীয় রানারআপ হয়েছেন।
শনিবার (২ নভেম্বর) বিকেল ৪টায় ব্যবসা শিক্ষা অনুষদের সম্মেলন কক্ষে ক্যারিয়ার ও নেতৃত্ব ভিত্তিক সংগঠন এন্টারপ্রেনিয়রশিপ অ্যান্ড লিডারশিপ ডেভেলপমেন্ট ক্লাবের (ইএলডিসি) উদ্যোগে এ প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়।
হিমন ভূঁইয়া এবং নাহিদা আফরিন মনিকার সঞ্চালনায় প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের হাতে আর্থিক পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়। বিজয়ীকে ৫ হাজার, প্রথম রানার আপকে ৩ হাজার এবং দ্বিতীয় রানার আপকে ২ হাজার টাকা পুরস্কার দেওয়া হয়।
পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে ব্যবসা শিক্ষা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আহসান উল্লাহ বলেন, ‘সৃষ্টির সেরা জীব হিসেবে আমাদের লিডারশিপ অর্জন করতে হবে। এ ধরনের প্রোগ্রামগুলো শিক্ষার্থীদের লিডারশিপ অর্জনে সাহায্য করে। বিশ্ববিদ্যালয়গুলো প্রতিষ্ঠিত হয়েছে দক্ষতা বৃদ্ধির উদ্দেশ্যে। সরকারি চাকরি কিংবা বিসিএসের দিকে না ঝুঁকে আমাদেরকে উদ্যোক্তা হওয়ার দক্ষতা অর্জন করতে হবে। আমাদেরকে চ্যালেঞ্জ নিতে হবে। জীবন একটাই, এখানেই আমাদেরকে সফল হতেই হবে।’
‘টিক ইয়োর টক ৩.০’ হলো কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যারিয়ার ও নেতৃত্ব ভিত্তিক সংগঠন এন্টারপ্রেনিয়রশিপ অ্যান্ড লিডারশিপ ডেভেলপমেন্ট ক্লাবের (ইএলডিসি) একটি অনলাইন পাবলিক স্পিকিং প্রতিযোগিতা। তৃতীয়বারের মতো অনুষ্ঠিত এ প্রতিযোগিতাটি শুরু হয় গত ১৪ অক্টোবরে থেকে।
এ প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারীরা পছন্দমত যে কোনো একটি বিষয় নিয়ে দুই মিনিটের একটি ভিডিও রেকর্ড করে নিজেদের ফেসবুক প্রোফাইলে আপলোড করেন। এখান থেকে সেরা দশ প্রতিযোগীকে নিয়ে চূড়ান্ত পর্ব অনুষ্ঠিত হয়।
ইএলডিসির সভাপতি শাহরিয়ার সাফল্য বলেন, ‘আমরা খুব কম সময়ের মধ্যে এ প্রোগ্রামটা আয়োজন করেছি। ইএলডিসির মাধ্যমে আমরা যে এন্টারপ্রেনারশিপ ও লিডারশিপ খোঁজার চেষ্টা করি, সেটা আমরা প্রাথমিকভাবেই পেয়েছি।’